মহানগর ডেস্কঃ ছিল রুমাল রাতারাতি হয়ে গেল বিড়াল। বিষয়টা এমনই হল গেরুয়া শিবিরের ডিসেম্বর রহস্য নিয়ে। বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার কিছুদিন আগেই বলেন, ডিসেম্বরে জাঁকিয়ে শীত পড়বে আর তাতে কাঁপবে তৃণমূল সরকার। আবার অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি ছিল, ডিসেম্বরেই রাজ্য সরকারের কোষাগারের দশা হবে ভাঁড়ে মা ভবানী। এমনকি দলের তরফে বার্তা দেওয়া হয়েছিল ডিসেম্বরের পরে তৃণমূল সরকারের কোনও অস্তিত্বই থাকবে না। রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির তরফে মিঠুন চক্রবর্তী দাবি করেন, তৃণমূলের ২১ জন বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ আছে তাঁর। এদিকে মঙ্গলবারের পর থেকেই বিজেপি মহলে ডিসেম্বর রহস্য নিয়ে উল্টো সুর চড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের তরফে।
মঙ্গলবার বিধানসভা গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে সুকান্ত মজুমদার স্পষ্টই জানান, ডিসেম্বরে কী হবে সেটা যারা বলেছিলেন তাঁরাই বলতে পারবেন। তবে বিধায়ক ভাঙিয়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার কোনও পরিকল্পন বিজেপির নেই। অন্যদিকে বুধবার শুভেন্দু অধিকারী জানান, ডিসেম্বরে রাজ্যের সবচেয়ে বড় চোর ধরা পড়বে। তবে ডিসেম্বরে বর্তমান সরকার পড়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে শুভেন্দুও সুকান্তর মত জানান, বিধায়ক ভাঙিয়ে সরকার গড়বে না বিজেপি। তিনি সভাপতির কথাকেই ঠিক বলে সম্মতি দেন এবং জানিয়ে দেন, সরকার পরিবর্তনের কথা তাঁরা বলেননি, এখনও বলছেন না।
দলের নেতাদের মুখে ডিসেম্বর নিয়ে নানা সম্ভাবনার কথা শুনে বিভ্রান্ত বিজেপির নিচু তলার একাংশও। জেলাস্তরের বিজেপি নেতারাও বুঝে উঠতে পারছেন না পঞ্চায়েত ভোটের আগে ডিসেম্বর ইস্যুতে তাঁরা ঠিক কতখানি সুর চড়াবেন।
ডিসেম্বর রহস্য নিয়ে বঙ্গ – বিজেপি নেতাদের নিত্যনতুন সংযোজনকে কটাক্ষ করে রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিবিআই – ইডি কী করবে সেটা শুভেন্দু অধিকারী আগাম বলে দিচ্ছেন। তা হলে প্রশ্ন উঠছে, বিজেপিই কি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে চালাচ্ছে? তিনি দাবি করেন, রাজ্যের উন্নয়নে বাধা দিতেই শুভেন্দুরা এ সব কথা বলছেন।