মহানগর ডেস্ক: এবার দলের নেতাদের জন্য ‘লক্ষণরেখা’ টেনে দিয়েছে বিজেপি (BJP)। নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) নবী মহম্মদের বিয়ে সংক্রান্ত মন্তব্যের জেরে যে ভোগান্তি ভুগতে হচ্ছে দলকে, তার জন্য বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিজেপি সূত্র অনুযায়ী, শুধুমাত্র নির্ধারিত মুখপাত্র এবং প্যানেলিস্টরা টিভি বিতর্কে অংশ নেবেন এবং তাদের নিয়োগ করবে মিডিয়া সেল।
সেইসঙ্গে দলের সমস্ত নেতাকর্মীদের ধর্ম ও তার প্রতীক বা ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের সমালোচনা করা থেকে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপাশি কথা বলার সময় ভাষা সংযত রাখার দিকেও নজর রাখতে বলেছে গেরুয়া শিবির। সূত্র অনুযায়ী, দলের কর্মীদের আলোচনার সময় উত্তেজিত না হবার সতর্কবাণী দিয়েছে বিজেপি। বলা হয়েছে, দলের আদর্শ যাতে লঙ্ঘন না হয়।
আরও পড়ুন: ছিলেন পঞ্চায়েতের সচিব হয়ে গেলেন ম্যাজিশিয়ান ! এ কেমন অবতার জিতেন্দ্র ভাইয়ার?
জানা গিয়েছে, মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি তার মুখপাত্রদের নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও চ্যানেলে উপস্থিত হওয়ার আগে বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করে নিতে হবে। অর্থাৎ যে বিষয় নিয়ে আলোচনা সভা তা নিয়ে আগে থাকতে বিশদে জেনে নিতে হবে। তারপর সেই নিয়ে ভেবেচিন্তে কথা বলতে হবে। এক কথায়, ‘ভাবিয়া চিন্তিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না’। মূলত একই ভুল যেন বারবার না হয় তার দিকে খেয়াল রেখে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপি চায় তাদের মুখপাত্ররা সরকারের সামাজিক কল্যাণমূলক কাজে মনোনিবেশ করুক।
সাম্প্রতিককালে দুই নেতার মন্তব্য অন্ততপক্ষে ১৫টি দেশের ইসলামিক দুনিয়াকে উস্কে দিয়েছে। প্রায় ১০ দিন আগে একটি টিভি বিতর্কের সময় নূপুর শর্মা হজরত মহম্মদের বিয়ে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য করেছিলেন। যার পর দলের আরেক নেতা নবীন জিন্দাল টুইটারে একটি ‘অপমানজনক’ পোস্ট করেন। যদিও পরে সেটি মুছে ফেলেছিলেন তিনি কিন্তু ততক্ষণে তার আঁচ পেয়ে গিয়েছে ইসলামিক দুনিয়া। যদিওবা বিজেপির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এই ধরনের লোক বা তাঁর মতাদর্শকে প্রচার করে না দল। এমনকি ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টাতেও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি।