মহানগর ডেস্ক: ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত বাংলায় যে কটি ভোট উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে, প্রায় প্রত্যেকটিতেই মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। প্রত্যেকবারই বঙ্গবাসীর প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ হয়েছে গেরুয়া শিবির। বিশেষত সিএএ কার্যকর করতে না পারার কারণে বাংলায় ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, মতুয়া ভোট কমেছে তার কারণেই। এহেন পরিস্থিতিতে CAA নিয়ে এক অবাক করা মন্তব্য করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যা নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (Kunal Ghosh)।
কুণাল ঘোষ বলেছেন, “ওষুধ, সার, পেট্রোলের দাম বেড়েই চলেছে। চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণের ত্রিসীমানায় দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না কেন্দ্রকে। মানুষের উপর আর্থিক চাপ বাড়ছে। সেদিক থেকে নজর ঘোরাতেই নানা ধরনের কথা বলছে বিজেপি”। উল্লেখ্য, সিএএ নিয়ে মঙ্গলবার হায়রাবাদের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বিজেপি যা বলে তা করে। রাম মন্দির ছিল ভারতীয় জনতা পার্টির লক্ষ্য। আইন ছাড়াই আমরা তা করে দেখিয়ে দিয়েছি। CAA আমাদের লক্ষ্য। আমরা তা করে দেখাবো। ২০২৪-এর অনেক আগেই সেই কাজে সফল হব আমরা”।
আরও পড়ুন : বৈঠকে কুণাল-রুপা, তাহলে কী দল বদলের সম্ভাবনা?
এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতির মন্তব্যে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, সত্যি কী তবে লোকসভা ভোটের আগে সিএএ কার্যকর হবে বাংলায়? প্রসঙ্গে কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘বাংলার মানুষের নজর ঘোরাতে এই ধরনের মন্তব্য করছে বিজেপি। ভোটের আগে এইসব বলার জন্য পশ্চিম বাংলার মানুষ ওঁদের প্রত্যাহার করেছে। আমাদের কথা, যাঁরা এরাজ্যের নাগরিক, ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, তাদের ভোটে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন, তাঁরা এদেশেরই নাগরিক। তৃণমূল আগেই বলেছে বর্তমানে যা ঘটনা ঘটছে, এই বক্তব্য তারই শাখা-প্রশাখা। দেশের মানুষের মধ্যে বিষ ঢালা হচ্ছে। বাংলার মানুষ এইসব জিনিসকে সমর্থন করে না’।
প্রসঙ্গত, সিএএ নিয়ে মতুয়াদের ক্ষোভ বহুদিনের। গত মার্চে মতুয়া মহা ধর্মমেলার সময় নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। যদিও বিধানসভা নির্বাচনের পর প্রথমবার বঙ্গে এসে এই নিয়ে কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তারপর এদিন সুকান্তর এই ধরনের বক্তব্যকে নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। যদিওবা তা গেরুয়া শিবিরের বাংলার মানুষের নজর ঘোরানোর পরিকল্পনা বলে, দাবি করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক।