মহানগর ডেস্ক: পৃথিবীর আলো আটকে রাখা কৃষ্ণগহ্বর (Black Hole Detected) এখন আমাদের আরও কাছাকাছি। জ্যোতির্বিদরা পৃথিবীর আরও কাছে একটি কৃষ্ণগহ্বরের হদিশ পেয়েছেন,যা নক্ষত্রের পিণ্ড (Stellar Mass) শ্রেণিভুক্ত। এর আগে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল কৃষ্ণগহ্বর পৃথিবী থেকে বহু দূরে রয়েছে। কিন্তু সেই ধারণা এখন পুরোটাই বদলে যেতে গিয়েছে এই কৃষ্ণগহ্বরের হদিশ মেলার পর। আকাশের ছায়াপথেই একটি নিষ্ক্রিয় বা ঘুমন্ত কৃষ্ণগহ্বর রয়েছে যার ওজন সূর্যের চেয়ে পাঁচ থেকে একশো গুণ বড় বলে জানা গিয়েছে। এই তথ্য জানা গিয়েছে সম্প্রতি প্রকাশিত রয়াল অ্যাস্ট্রোনমিকাল সোসাইটির মাসিক বিজ্ঞপ্তি থেকে। পৃথিবীর কাছে চিহ্নিত এই কৃষ্ণগহ্বরের আয়তন সূর্যের চেয়ে দশগুণ বড়, যা কনস্টেশন অফিউচুসে ষোলো শ আলোকবর্য দূরে অবস্থান করছে, যা পৃথিবীর কাছে তিনগুণ কাছাকাছি এই কৃষ্ণগহ্বরকে নিয়ে এসেছে।
রহস্য ভেদ করতে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা হাওয়াইয়ে জেমিনি নর্থ টেলিস্কোপ ব্যবহার করেছেন। আন্তর্জাতিক জেমিন অবজার্ভেটরির দুটি টেলিস্কোপের একটি হল এই টেলিস্কোপ। এর মাধ্যমে কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গী সূর্যের মতো একটি নক্ষত্র পৃথিবী যে দূরত্বে সূর্যের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে চলেছে, ঠিক সেভাবেই ওই নক্ষত্র কৃষ্ণগহ্বরের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করে চলেছে। অ্যাস্ট্রো ফিজিসিস্ট করিম এল বাদরি জানিয়েছেন এই সৌরজগতকে যেখানে সূর্য অবস্থান করছে, সেখানে একটি কৃষ্ণগহ্বরকে রাখুন, সূর্যের কাছাকাছি যেখানে পৃথিবী রয়েছে, সেখানে রাখা হলে গোটা বিষয়টি জানা সম্ভব হবে। যেখানে এই সৌরব্যবস্থা নিয়ে এর আগে যেসব দাবি করা হয়েছিল,সেইসমস্ত আবিষ্কার আর কাজে আসবে না। এই প্রথম ছায়াপথে নক্ষত্র পিণ্ডের কৃষ্ণগহ্বরের সূর্যের মতো একটি গ্রহ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।