মহানগর ডেস্ক: মালিক হয়েই নানা ধরনের খেল দেখাচ্ছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। টুইটারের (twitter) কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে সর্বশেষ নয়া ব্লু-টিক (Blue tick) পলিসি। সবটার মধ্যেই রয়েছে টুইটারের নিত্য নতুন নিয়ম। সেই অনুযায়ী, এবার টাকা দিলেই ভেরিফায়েড হ্যান্ডেল পাবেন যে কেউ। আর এই নিয়ম চালু হতেই চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের। কারণ নেটদুনিয়ায় একজন ভেরিফায়েড হ্যান্ডলের মালিককে দেখে যেমন হেসে গড়াগড়ি খাচ্ছেন ঠিক তেমনি অনেকেই টুইটারের বৈধতা ও নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
সম্প্রতি একটি টুইটার হ্যান্ডেল ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে, যার মালিক নাকি স্বয়ং যীশুখ্রীষ্ট (Jesus Christ)! এখানেই শেষ নয়, টুইটার থেকে আজীবন নির্বাসিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর ভেরিফায়েড হ্যান্ডলও চোখে পড়েছে সবার। সেই তালিকায় রয়েছে গেমিং ক্যারেক্টার সুপার মারিওরও। এমন সব অবাস্তব হ্যান্ডলেই দেখা যাচ্ছে ব্লু-টিক। আর তারপর থেকেই নয়া ভেরিফিকেশন পদ্ধতি নিয়ে ট্রোল করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকেই এই ব্লু-টিক পদ্ধতি চালু রয়েছে। যার মাধ্যমে তারকা, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, স্বাধীন সাংবাদিক সহ বিভিন্ন বিখ্যাত মানুষজনের ‘প্রকৃত’ হ্যান্ডল চিনতে পারতেন নেটিজেনরা। তবে এই ভেরিফায়েড প্রোফাইল এতদিন সবাই পেয়ে এসেছে বিনামূল্যে। কিন্তু গদিতে বসেই ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এবার থেকে এই পরিষেবার অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে মাসিক ৮ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৬৬০ টাকা) খরচ করতে হবে।
যদিও নয়া নিয়ম চালুর কথা জানার পরেই তা কতটা কার্যকর হবে সে ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের দাবি ছিল, যে কেউ যদি টাকার বিনিময়ে ভেরিফাইড টুইটার হ্যান্ডল পাওয়ার ক্ষমতা রাখেন, তাহলে বট এবং ফেক হ্যান্ডলে ভরে উঠবে টুইটার। তাঁদের আশঙ্কা যে অমূলক ছিল না, তার প্রমাণ মিলছে একাধিক ‘ভেরিফায়েড’ টুইটার হ্যান্ডল থেকেই।
তবে এ নিয়ে একদিন আগেই টুইটারের অফিসিয়াল লেবেল লঞ্চ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা সরিয়ে নেওয়া হয়। কারণ অফিসিয়াল লেবেল চালু করার উদ্দেশ্যই ছিল টাকা দিয়ে ব্লু টিক পাওয়া হ্যান্ডলধারী ও মূল্য বিহীন বাকি বৈধ হ্যান্ডলগুলি নিয়ে বিভ্রান্তি কমানো। যদিও এই বিষয়ে সাফাই গেয়ে ইলন জানান, ‘অনুগ্রহ করে শুনে নিন, টুইটার আগামী মাস গুলি যাবৎ আরও অনেক বোকা বোকা জিনিস করবে। সেসবের মধ্যে কার্যকরী জিনিসগুলো রেখে বাকি তুলে নেওয়া হবে।’