মহানগর ডেস্ক: কোনওটা মারাত্মক যন্ত্রণার। কোনওটা আবার দমবন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো। অনেকেই যখন তাঁদের দেহে নানা কিছু করে চেহারায় ( Body Modification)বদল আনার ব্যাপারে আকাশপাতাল ভাবেন,করবেন কি করবেন না- তা নিয়ে অহোরাত্র দ্বন্দ্বে ভোগেন,তখন আর্জেন্টিনার এই দম্পতি (Couple Of Argentina) তাঁদের শরীরে ভীষণরকমের বদল ঘটিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্লড রেকর্ড করে বসেছেন। গ্যাব্রিয়েলা পেরালটা এবং ভিক্টর হুগো ট্যাটুর ব্যাপারে বরাবরই প্যাশোনেট এবং শরীরে নানা কিছু করে চমকে যাওয়া বদল করেছেন। এ পর্যন্ত আটানব্বইবার ট্যাটু করে বিচিত্র চেহারার করে তুলেছেন তাঁরা। এর আগে ২০১৪ সালে চুরাশি রকমের শরীরে নানা রকমের বদল ঘটিয়ে নাম তুলেছিলেন গিনেস বুকে। এবার তাঁরা তাঁদের চোখে ট্যাটু করে চোখের তারা কালো কালি রঙে রাঙিয়েছেন, পঞ্চাশবার ফুটো করেছেন এবং আটটি মাইক্রোডেরমাল ও চোদ্দবার শরীরে কিছু জিনিস প্রতিস্থাপন করেছেন।
পাঁচটি দাঁতও লাগিয়েছেন। চারটি কান বড় করার এয়ার এক্সপান্ডার করেছেন। দুটো এয়ার বোল্ট ও জিভে অস্ত্রোপচার করে নিজেদের চেহারাকে একেবারে অদ্ভুত করে তুলেছেন। ভিক্টর হুগো বুক অব ওয়াল্ডসকে জানিয়েছেন জীবনকে উপভোগ করুন। শিল্পকে উপভোগ করুন। ট্যাটু কারোকে ভালো বা খারাপ করে তোলে না। এটা একটা শিল্প। একদল কদর করবেন। আরেকদল করবেন না। গ্যাব্রিয়েলা যতগুলো বদল ঘটিয়েছেন তার মধ্যে তিনটি এমন ট্যাটু করেছেন যা প্রচণ্ড যন্ত্রণাদায়ক। ওই ট্যাটু করার যন্ত্রণা অন্য যেগুলো তিনি করেছেন, তার তুলনায় অনেক বেশি কষ্টকর। ভিক্টর তাঁর জিভে কারিকুরি করতে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নিঃশ্বাস নিতে প্রচণ্ড সমস্যায় পড়তে হয়। তবে যত যাই হোক, এই শিল্পকে তাঁরা ভালোবাসেন। কারণ তাঁদের কাছে এটি হল শিল্পী সত্তা প্রকাশের মহান প্রতীক। স্বাধীনতারও।