মহানগর ডেস্ক: হা়ড়ে কাঁপুনি ধরা শীতে (Chilling Winter) কেউ যদি বলেন শীতকে জব্দ করতে সমুদ্রতীরে গিয়ে গায়ে রোদ লাগানোর জন্য। তাহলে একসেকেন্ডও দেরি নয়, ব্যাগপত্তর গুছিয়ে সোজা সমুদ্রতীরে চলে যাবেন যে কেউ। কারণ কাঁপুনি দেওয়া শীতকে কে পছন্দ করে। তারওপর যদি একটু আধটু হাওয়া দেয়, তাহলে আর রক্ষেই নেই। শীতে একেবারে থরহরি কম্প। তখন মনে হতেই পারে রোদ্দুরে গিয়ে কমসে কম গা-টা গরম করে নিই। বিদেশ হলে না হয় রুম হিটার জ্বালিয়ে দিই। কিন্তু এ দেশে তো সেটা কিছুতেই সম্ভব নয়। কিন্তু নেহা ভাসিনের (Bold Neha Vasin) ব্যাপারটা একদমই আলাদা। তিনি ডোরা কাটা বিকিনি পরে এই কাঁপুনি দেওয়া ঠান্ডাকে জব্দ করে দিতে চান। বিকিনি পরে রোদ প্রত্যাশীদের তিনি কি কিছু বলতে চান?
এরকম শরীরে কাঁপুনি ধরা শীতে তিনি আবার কি বলতে চান। সম্ভবত আমাদের শীতের ছুটিতে উষ্ণতার খোঁজে ঘরেই থাকতেই বলতে চান তিনি। এই ভর শীতে নেহা মুম্বইয়ে বিকেলে সমুদ্রতীরে উষ্ণতার খোঁজে না গিয়ে ডোরাকাটা বিকিনি পরে শীতকে শায়েস্তা করছেন। যেন বলছেন বীরপুরুষেরা তাঁর মতো হোন। এই কনকনে শীতে তিনি নিজের ঘরে বিকিনি পরে বসে আছেন। সোয়েটার, কার্ডিগান, চাদর টাদর তুচ্ছ। সময়ের জিনিস সময়ে উপভোগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। সমুদ্রতীর, সুইমিং পুলে না গিয়ে নেহা নিজের ঘরে বেশ স্বচ্ছন্দেই আছেন। অনেকেই তাঁকে এমন সাহসিনী দেখে হিংসেও করতে পারেন। কিন্তু নেহা হলেন নেহাই। তাঁকে দেখে শীতকাতুরেদের অনুপ্রেরণা পাওয়ারই কথা। চোখে আবার গোলাপি রঙের সানগ্লাস পরা। সানগ্লাস পরা চোখে হাবেভাবে ডরো মত ভঙ্গি। যখন শীতে কাঁপতে কাঁপতে গোয়ার সমুদ্রতীরে গিয়ে রোদ মাখার কথা ভাবছেন,তখন নেহা যেন এক অদম্য সাহসের প্রতীক। কাঁপুনি দেওয়া শীতকে থোড়াই কেয়ার। কী আপনারা একবার চেষ্টা করবেন নাকি?