মহানগর ডেস্ক : ছবির অর্ধেক সফলতা লুকিয়ে থাকে কিভাবে সেই ছবির প্রচার কার্য চালানো হচ্ছে তার ওপর। বিশেষ করে শোকের মনে মনে কতটা পৌঁছে যাচ্ছে সেই ছবি সেটাই আসল উদ্দেশ্য। তা না হলে দর্শক হল মুখি হবে কেন। এতদিন ধরে বলিউড নামেই একটা আলাদা জৌলুস ছিল। তাই মুক্তি পেলেই দর্শকরা কোন কিছু না ভেবে কেবলমাত্র পছন্দের তারকাকে বড় স্ক্রিনে দেখবেন বলে ছুটে আসতেন। তবে দিন পাল্টেছে, পাল্টেছে দর্শকদের পছন্দ। এখন ছবির টাইটেলে খান, কাপুর কিংবা কুমার দেখে আর দর্শক ছোটেননা। তাই ছবি বিশেষজ্ঞদের ভয় যদি এখন বলিউড নিজেকে না শুধরায় তাহলে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে তাদের।
বর্তমানে বলিউডের আর এক জোরদার প্রতিপক্ষ হয়ে উঠেছে দক্ষিণ ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। যেভাবে একের পর এক টলিউড ছবিকে টেক্কা দিয়ে বিশ্বে নিজেদের জায়গা করে রাখছে বা বলা ভালো বলিউডকে জাস্ট উড়িয়ে দিয়ে এর দর্শকদের মন জয় করছে তাতে যথেষ্ট চিন্তা রয়েছে। তা না হলে আমির খানের লাল সিং চাড্ডা, অক্ষয় কুমারের ছবি বা মেগাস্টার অমিতাভ বচ্চনের রান ওয়ে এত ভরাডুবি দেখত না। কিন্তু কোথায় আটকাচ্ছে বলিউড?
ছবি বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন প্রচার কৌশলে। বলিউড যেভাবে ছবির প্রচার করছে তাতে কেবলমাত্র হাতেগোনা মুম্বাই বাসীই আকৃষ্ট হচ্ছে। যার ফলে হল মালিকরা এক সপ্তাহ পরেই আর বলিউড ছবি রাখতে চাইছে না তাদের হলে। এছাড়া ছবির কলাকুশলীরা যে ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য করে বসেন প্রচারকার যে এসে সেটিও বন্ধ করতে হবে। বদল করতে হবে তাদের মার্কেট এজেন্সি সোর্স। দক্ষিণ ভারতের ছবিগুলি এতটা সফলতার অন্যতম হাতিয়ার মিডিয়া এবং প্রেস কনফারেন্স। যা বলিউডে সচরাচর এখন আর দেখা যায় না। যত বেশি মিডিয়া মারফত ছবি প্রচার পাবে ততই লোকের কাছে পৌঁছবে ছবির কথা। যার উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে রণবীর আলিয়ার ব্রহ্মাস্ত্র। এবং সেই প্রচারকার্য কেবলমাত্র মুম্বাইতেই আটকে রাখা নয়। বরং গোটা ভারতে ছড়িয়ে দেওয়া।
এমনকি একটা পুরো পরিকল্পনা হওয়া দরকার। এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় মিডিয়া কিংবা দর্শকদের মধ্যে থেকে কোন কন্ট্র্রভার্সিয়াল প্রশ্ন যদি তারকাদের করা হয় তাহলে তারা রুঢ় ব্যবহার করে থাকেন। এটি আরেকটি বিপর্যয়ের কারণ। উত্তর দিতে হবে ভেবেচিন্তে। যা বর্তমানে বলিউড অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্যে খুব একটা দেখতে পাওয়া যায় না। বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে তারা এমন রকচটা উত্তর দিয়ে থাকেন যা দর্শকদের ক্ষেপিয়ে তুলতে পারে। ছবিকে পড়তে হতে পারে বয়কটের মধ্যে।