মহানগর ডেস্ক: মাসের শুরুতে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন ২০১৯ সালে প্রণয়ন করা CAA চলতি বছরেই কার্যকর হতে পারে। এই নিয়েই রাজনৈতিক মহলে ব্যপক ঝড় উঠেছিল। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রণয়ন নিয়ে বিজেপি বিরোধী একাধিক দল বিরোধিতা করেছিলেন। সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আইন জারি হতে দেবেন না বলেও সাফ জানিয়েছিলেন। সেই চর্চার মধ্যেই ফের একবার সূত্রে জানা গিয়েছে ঠিক কবে থেকে কার্যকর হতে চলেছে.
সূত্র বলছেন চলতি বছরের লোকসভা নির্বাচনের আগেই কার্যকর হতে পারে সিএএ। এই বিষয়ে নিয়ম জারি করার পরে এই আইন কার্যকর করা হবে। জানা গিয়েছে, লোকসভা নির্বাচনের আগে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট কার্যকর হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (CAA) নিয়মগুলিকে যে কোনও সময় প্রকাশ করা হতে পারে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এক মাস আগেই সিএএ লাগু নিয়ে বলেছিলেন, “আমাদের মুসলিম ভাইদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে এবং (সিএএ-র বিরুদ্ধে) প্ররোচিত করা হচ্ছে। সিএএ শুধুমাত্র পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশে নিপীড়নের সম্মুখীন হয়ে ভারতে আসা ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। এটি কারও ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর সংসদ কর্তৃক প্রণীত CAA, ভারত জুড়ে তীব্র বিতর্ক এবং ব্যাপক প্রতিবাদের বিষয় হয়ে উঠেছিল। CAA-তে খোদ রাষ্ট্রপতির সিলমোহর পড়লেও বিধি তৈরি হয়নি। দিল্লির শাহিনবাগে অবস্থান বিক্ষভ এবং অসমের গুয়াহাটিতে প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে। কলকাতাতেও ব্যপক বিক্ষোভ হয়। তবে করোনার সময় বিধিনিষেধ এবং লকডাউনের জন্য প্রতিবাদের আগুন কমে গিয়েছিল। তাই সেই অর্থে দেশে এখনও আইনটি কার্যকর করা যায়নি। কিন্তু এই আইন কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে প্রবল। কিন্তু গত ৫ বছরে যখনই এই আইন কার্যকরের কথা বলেছে মোদী সরকার ঠিক ততবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গেই কিছু না কিছু কারণে পিছিয়ে গিয়েছে কেন্দ্র। তবে শোনা যাচ্ছে এবার আর কোনও বাধা মানা হবে না।