মহানগর ডেস্ক : ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। সপ্তাহের প্রথম দিনেই বিরাট ঘোষণা করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগেই জানানো হয়েছিল লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যকর হবে। সেই কথা মতই আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন (CAA) জারির কথা ঘোষণা করেছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিভিন্ন বিধি স্বরাষ্ট্রদফতরের সরকারি ওয়েবসাইটে জারি করা হল।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল না, তার আগেই কেন্দ্রের তরফে দেশ জুড়ে সিএএ কার্যকর হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করা হল। কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি জারি করল। পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় উৎপীরণের কারণে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রীষ্টান,পারশিক যারা ভারতে এসেছেন তারা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তিন দেশ থেকে যে ৬টি ধর্মের মানুষ ভারতে এসেছে, তারা কি ভাবে ভারতের নাগরিকত্ব পাবে সেটা এই সিএএ আইনে উল্লেখ আছে। সিএএ-র ওয়েবসাইটে আবেদননকরা যাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে এই এই খবর জানা গিয়েছে। ঠাকুর নগরে মতুয়া সম্প্রদায় আনন্দে মেতেছে। নরেন্দ্র মোদীকে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।
এদিকে নবান্ন থেকে সিএএ প্রসঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “সিএএতে বৈষম্য থাকলে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হলে আমরা চুপ করে থাকব না। এসব হচ্ছে ভোটের আগে বিজেপির চাল। ২০২০ সালে এই আইন চালু হয়েছে। ৬ মাস আগে কেন কার্যকর করেনি? রমজানের আগে করতে হল? আমি রুল ফ্রেম দেখে আগামীকাল হাবড়ার সভা থেকে যা বলার বলব।”
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার ব্রিগেড থেকে বলেছিলেন, “রাজ্যে সিএএ, এনআরসি চালু করতে দেব না।”
সোমবার নবান্নে ব্রিগেডে তাঁর বক্তব্য উল্লেখ করে মমতাকে প্রশ্ন করা হলে মমতা বলেন, “আগে রুল ফ্রেম দেখি, সেখানে কি আাছে, তারপর আগামীকাল হাবড়ার সভা থেকে যা বলার বলব।” দিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যতোই বলুন বাংলায় সিএএ চালু করতে দেবেন না সারা দেশে কিন্তু ১১ মাচ ২০২৪, বিকেল থেকে চালু হয়ে গেল সিএএ। যদিও সব বিরোধীতার পর গত ডিসেম্বরে কলকাতায় এসে অমিত শাহ বলে গিয়েছিলেন, “সিএএ হবেই। যাঁরা বলছেন হতে দেবেন না তাঁরা অপপ্রচার করছেন। সিএএ কারও নাগরিকত্ব কাড়ার আইন নয়, নাাগরিকত্ব দেওয়ার আইন।”