মহানগর ডেস্কঃ এবার অ্যালকেমিস্ট দূর্নীতি কাণ্ডে ইডির তলব রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে। গতকাল, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ হিসাবে অরূপ বিশ্বাসকে তলব জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন ইডি গোয়েন্দারা। একেবারে লোকসভা নির্বাচনের মুখেই তৃণমূলের আরেক হাই ভোল্টেজ নেতাকে তলব ইডির। ঘটনাকে নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনোইতিক চাপানউতোর। ইডির চিঠির পাল্টা চিঠি জানিয়ে ইডির কাছে সময় চেয়েছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
অ্যালকেমিস্ট চিটফান্ড তদন্তে নেমে লেনদেন সম্পর্কিত পরীক্ষা করতে গিয়েই উঠে আসে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেখা যায় ওই সংস্থার লেনদেনের বেশ কয়েক কোটি টাকা গিয়েছে একটি অ্যাকাউন্টে। কিন্তু সেই লেনদেন কোনও ব্যবসায়িক সূত্রে হয়নি। তবে কেন ওই মোটা অঙ্কের টাকা নির্দিষ্ট ওই অ্যাকাউন্টে পাঠানো হত, তা জানতেই তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ অরূপ বিশ্বাসকে তলব করেছে ইডি। ঘটনার সত্যতা যাচাই ও বয়ান রেকর্ড করতে মন্ত্রীর সহযোগিতা আশা করছেন গোয়েন্দারা। গত মঙ্গলবারেই মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে তলব জানিয়ে চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এরপর সেই চিঠির উত্তর জানিয়ে পাল্টা চিঠি পাঠায় এরূপ বিশ্বাস। সেখানে তিনি কিছুটা সময় চেয়েছেন হাজিরা দেওয়ার জন্যে। তবে তাঁকে সেই সময় দেওয়া হবে কি না তা তদন্তকারীরা আলোচনা করে ঠিক করবেন বলে জানা যাছে তদন্তকারী দলের সূত্রে।
তবে এই ইডির তলবকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ফের রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। তৃণমূলের তরফে ইডির তলবকে কটাক্ষ করে বলা হয়েছে, অ্যালকেমিস্টের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে ভূষিত করছে ভারত সরকার। সবার আগে তাঁকেই গ্রেফতার করা উচিৎ বলেই দাবি করছে তৃণমূল। এর পাল্টা জানিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “মিঠুন চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে তৃণমূল আদালতে যাচ্ছে না কেন? রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হলে তারা আদালতে সেকথা জানাচ্ছে না কেন? অরূপ বিশ্বাসকে নিয়ে কেউ আগ্রহী নয়। সবাই মাথাকে জেলে দেখতে চায়। সেটা যত তাড়াতাড়ি হয় সেটাই মঙ্গল”।