HomeBreaking NewsInhuman Condition Of Govt Juvenile Home: হাত-পা বেঁধে শিশু আবাসিককে নির্মম মারধর,...

Inhuman Condition Of Govt Juvenile Home: হাত-পা বেঁধে শিশু আবাসিককে নির্মম মারধর, যোগী রাজ্যের সরকারি জুভেনাইল হোমে নারকীয় দৃশ্য!

- Advertisement -

মহানগর ডেস্ক: অমানবিক! আগ্রায় শিশুদের সুরক্ষা ও সংশোধন কেন্দ্র একটি সরকারি জুভেনাইল হোমে (Inhuman Condition Of Govt Juvenile Home) এক নাবালিকাকে মারধর এবং আরেক নাবালিকাকে হাত ও পা বেঁধে বেধড়ক মারের ভিডিও ঘিরে প্রবল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায়  উত্তরপ্রদেশ সরকার পরিচালিত জুভেনাইল হোমে শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। দিন কয়েক আগে হোমের একটি শিশু আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

এই ঘটনায় হোমের সুপারিনটেন্ডেন্ট পুনম পালকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত সুপারিনটেন্ডন্ট এর আগেও প্রয়াগরাজের একটি হোমে এরকম নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সোমবার ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা গিয়েছে একটি ঘরে একটি শিশুকন্যা শুয়ে আছে এবং আলাদা করে রাখা তিনটি খাটিয়ায় ছজন শিশু শুয়ে বিশ্রাম করছে। এরপর সেখানে ঢুকে ওই মহিলা সুপারিনটেন্ডন্ট একটি মেয়েক নির্মমভাবে মারধর করতে শুরু করেন। অন্যদের চিৎকার করে বকাবকি করতে দেখা যায়। তাদের একজনকে জোরে চড়ও মারেন।

এক কর্মী সেদিকে তাকিয়ে থাকতে দেখা যায়। মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসা ভিডিওটি আরও বেশি শিউরে ওঠার মতো। তাতে দেখা গিয়েছে সাত বছরের কাছাকাছি একটি শিশুকে খাটের একধারে দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। দড়ি বাঁধা অবস্থায় ওঠার চেষ্টা করলেও সে উঠতে পারছে না। আগ্রা ডিভিশনের কমিশনার ঋতু মাহেশ্বরী জানান ওই হোমের সুপারিনটেন্ডন্ট পুনল পাল এবং অন্য কর্মীরা ওই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। পুনম পাল সহ বাকি কর্মীদের সাসপেন্ড করা হয়েছে। জেলা শাসক কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। একটি এফআইআর করা হয়েছে।

আগ্রার জেলা বিচারক, অতিরিক্ত জেলা বিচারক ও শেলটার হোম কমিটির চেয়ার পার্সন বুধবার হোম ঘুরে গিয়েছেন। সেসময় জুভেনাইল হোমের যে ঘরগুলিতে শিশুরা থাকে, সেই ঘরগুলিতে  বিড়ি টুকরো, তামাক খাওয়া-সহ অনেক কিছু তাঁদের চোখে পড়েছে। হোমে থাকা শিশুদের খাবারও পর্যাপ্ত দেওয়া হয় না বলে তাঁরা জানতে পারেন। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে শিশুদের ভালো রাখার বদলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রাখা হয়েছে। তাদের ওপর অত্যাচারও হয় যা প্রথম ভিডিওয় দেখা গিয়েছে। একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে শিশু অধিকার কর্মী নরেশ পারস জানিয়েছেন।

 

 

Most Popular