মহানগর ডেস্ক : কংগ্রেস ছাড়লেল কংগ্রেসের প্রতিবাদী নেতা কৌস্তভ বাগচী। তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীকে এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে তাঁর ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছেন। তিনি দলের প্রাথমিক সদস্য ছিলেন। এখন দেখার কবে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
কেন কৌস্তভ বাগচি কংগ্রেস ছাড়লেন? উত্তরে কৌস্তভ জানিয়েছেন, “প্রদেশ কংগ্রেস অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে। কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে প্রদেশ কংগ্রেসের চাইতে তৃণমূলের গুরুত্ব অনেক বেশি। তাই আমার মনে হয়েছে এই দলটা করার আর কোনও প্রয়োজন নেই।”
এদিকে প্রদেশ কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় জানিয়েছেন, “ওনার দুটো হাত আর একটা অজুহাত আছে। তিনি যে এই পথে যাচ্ছেন সেটা আগে থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। কংগ্রেসের কোনও অনুষ্ঠানে থাকেন না। তাঁর গলায় বিজেপির সুর প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। তবে ওনার কথায় প্রদেশ কংগ্রেসের অস্তিত্ব নির্ভর করে না।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ করা যেতে পারে সম্প্রতি কৌস্তভ বাগচির বাড়ির গণেশ পুজোতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেদিন শুভেন্দুকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসাবে ভুয়সী প্রশংসা করেন কৌস্তভ। ওইবদিনই শুভেন্দু কৌস্তভের হাত ধরে বলেন, “আমরা এক সঙ্গে কাজ করব।” শুভেন্দুর ডাকে সাড়া দিয়ে কংগ্রেস ছাড়লেন কৌস্তভ, এবার দেখা ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা মঞ্চে কৌস্তভ বিজেপিতে যোগ দোন কি না!
কৌস্তুভ বাগচির সঙ্গে বরাবরই অধীর রঞ্জন চৌধুরীর সম্পর্ক তিক্ত। অধীরবাবু একাধীকবার কৌস্তভের মুখে প্রদেশ কংগ্রেসের সমালোচনার জবাবে বলেছেন, “কে কোথায় কী বলছে তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই।”
কাজেই বলা যায় অনেকদিন আগে থেকেই কৌস্তভ বাগচি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে ঢোকার রাস্তা খুঁজছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীর সিগনাল পেয়ে বাড়ির গণেশ পুজোর দিনই কৌস্তভ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন কংগ্রেস ছাড়ার। এবার সত্যিই তিনি কংগ্রেস ছাড়লেন। এখন দেখার কবে তিনি তাঁর এক সময়ের সমালোচনার প্রধান লক্ষ্য বিজেপিতে যোগ দেন!