মহানগর ডেস্কঃ চলতি বছরের জুন মাসেই পাকা কথা সারা হয়ে গেছিল । নভেম্বরেই হওয়ার কথা বিয়ে। সেইরকমই এগোচ্ছিল বর-কনে দুই পক্ষই। আচমকাই বিপত্তি। বরের পরিবারের পক্ষ থেকে কনেকে পাঠানো হয়েছিল লেহেঙ্গা। সেই লেহেঙ্গার তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন হবু কনে। তাঁর অভিযোগ বরপক্ষের পাঠানো লেহেঙ্গা অত্যন্ত সস্তার। ব্যাস, সস্তার লেহেঙ্গা দেখেই সরাসরি বিয়েতে নাকচ করেন তিনি।
এমনই অবাক করা ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানিতে। চলতি বছরের জুন মাসে রাজপুরা পাড়ার বাসিন্দা ওই কনের বাগদানও সম্পন্ন হয়ে গিয়েছিল। গত ৫ নভেম্বর তাঁর বিয়ের দিন হিসেবেও ধার্য হয়েছিল। এদিকে লেহেঙ্গা দেখে রীতিমত রেগে আগুন পাত্রী। অস্বীকার করেন বিয়ে করতে।
পাত্রপক্ষের তরফে দাবি করা হয়, সেই লেহেঙ্গার দাম ১০,০০০ টাকা। লেহেঙ্গাটি কেনা হয়েছিল লখনৌ থেকে। তবে কনের সেই লেহেঙ্গা পছন্দ না হওয়ায় পাত্রের বাবা তাঁকে একটি এটিএম কার্ড ব্যবহার করতে দেন। নতুন লেহেঙ্গা কিনে নিতে বলেন সেই কার্ড ব্যবহার করে। অথচ তাতেও চিঁড়ে ভেজেনি। পাত্রী নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল। এরপরেই কোতোয়ালি থানায় জানানো হয় গোটা ঘটনা। এরপর দুই পরিবারের সমঝোতায় বাতিল করে দেওয়া হয় বিয়েটাই।
কনের সিদ্ধান্তে বিয়ে বাতিলের এমন দৃষ্টান্ত এই প্রথম নয়। মাস কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশে এক পাত্র তাঁর বরমালা পাত্রীর গলায় দেওয়ার বদলে অন্য জায়গায় ছুঁড়ে ফেলেন। তাতেও পাত্রী ওই পাত্রকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। এরপর রীতিমত পুলিশের হস্তক্ষেপে বাতিল করা হয় বিয়ে।