মহানগর ডেস্কঃ গোটা দেশে বেসরকারি টেলিকম সংস্থাগুলি ইতিমধ্যেই 5G পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। জিও এবং এয়ারটেল এই দুই সংস্থা দেশের নির্বাচিত কিছু অঞ্চলের মধ্যে 5G পরিষেবা দিতেও শুরু করেছে ইতিমধ্যে। সেই জায়গায় সরকারি টেলিকম সংস্থা বিএসএনএলের হাল তথৈবচ। মান্ধাতার আমলেই পড়ে আছে এই সরকারি সংস্থা। 5G পরিষেবা দূরে থাক, এই সংস্থা এখনও পড়ে আছে 3G পরিষেবাতেই। সংস্থার তরফে বারবার 4G লঞ্চের কথা জানানো হলেও প্রতিবারই তা পিছিয়েছে। সম্প্রতি ফের একবার 4G নেটওয়ার্ক লঞ্চের সম্ভাব্য দিনক্ষণ ঘোষণা করা হল রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার তরফে।
প্রথমে জানা গিয়েছিল চলতি বছরের অগাস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে 4G পরিষেবা দিতে শুরু করবে বিএসএনএল। জানানো হয়েছিল ১৫ অগাস্ট স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে এই পরিষেবা লঞ্চ করা হবে। পরে সেটি পিছিয়ে যায়। এরপর চলতি বছরের শেষের দিকে এই পরিষেবা লঞ্চ করার কথা শোনা যায়। সম্প্রতি এক টুইট বার্তায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে দেশের 4G পরিকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে।
পাশাপাশি টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে দেশে 4G লঞ্চ করবে বিএসএনএল। আর তার কয়েক মাসের মধ্যেই 5G পরিষেবা লঞ্চ করতে পারে এই সংস্থাটি।
এই 4G নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের সাহায্য নিচ্ছিল ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড। তবে সম্প্রতি টেলিকম টক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে টাটাদের হাত ছেড়ে 4G নেটওয়ার্কের জন্য জিও সংস্থার সঙ্গে হাত মেলাতে পারে এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। তার জন্য গোটা দেশে প্রায় এক লক্ষ টাওয়ার আপগ্রেড করতেও পারে এই সংস্থা। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, কোম্পানির অভিযোগ টিসিএস সংস্থার সঙ্গে কাজ শুরু করায় বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে বিএসএনএলকে। এই কারণেই বারবার লঞ্চ করা পিছিয়ে দিতে হচ্ছে। তাই জিও-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার কথা ভাবছে ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড।