মহানগর ডেস্ক: ভোটমুখি গুজরাতে আচমকা অঘটন! রবিবার সন্ধ্যেয় গুজরাতের মোরবিতে মাচ্চু নদীর ওপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল কেবল সেতু (Cable Bridge Collapsed)। মৃত কমপক্ষে ৯১জন। জখম অন্তত সত্তর। যদিও রাজকোটের সাংসদের দাবি আরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আটক বহু। আটক ব্যক্তিদের উদ্ধারের কাজ চলছে। কংগ্রেসের অভিযোগ ভোটের কথা মাথায় রেখেই তাড়াহুড়ো করে সেতুটি খুলে দেওয়ার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার পরেই প্রধানমন্ত্রী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। ফোন করে বিষয়টিতে ক্রমাগত নজরদারি রাখার পরামর্শ দেন। আহতদের সবরকম সাহায্যের কথা বলেন। গত সপ্তাহেই এই ঐতিহাসিক সেতুটির সংস্কার হয়। গুজরাতি নববর্ষের দিন এই সেতুর উদ্বোধন হয়। মৃতদের পরিবার পিছু দু লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আহতদের পঞ্চাশ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী দফতর।
গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল নিহতদের পরিবার পিছু চার লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেন। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই সেখানে রওনা দেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি। জানা গিয়েছে দুর্ঘটনার সময় সেতুর ওপর পাঁচশো মানুষ ছিলেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বহু মানুষ আটকে রয়েছেন সেখানে। শতবর্য পেরিয়ে যাওয়া সেতুটির প্রথম উদ্বোধন হয় ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৮৭০ সালে। মুম্বইয়ের তদানীন্তন গভর্নর রিচার্ড টেম্পল এর উদ্বোধন করেন। সেতুটি সম্পূর্ণ হয় ১৮৮০ সালে। সেসময় খরচ হয়েছিল সাড়ে তিন লক্ষ টাকার কাছাকাছি। সমস্ত মাল মশলা এসেছিল ব্রিটেন থেকে। এবং দরবার গড় থেকে নজরবাগ সংযোগ স্থাপনে সেতুটি তৈরি হয়। বর্তমানে এই ঝুলন্ত সেতুটি মহাপ্রভুজি এবং গোটা সামাখান্ত এলাকার সঙ্গে সংযোককারী হিসেবে কাজ করছে। একশো চল্লিশ বছরের এই সেতু লম্বায় সাতশো পঁয়ষট্টি ফুট। গত দু বছর সেতুটি বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং গত ছাব্বিশে অক্টোবর এটি ফের খুলে দেওয়া হয়। এদিকে মোরবি মিউনিসপাল কমিটির সিইও এসভি জালা জানিয়েছেন, সেতুটি ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই খুলে দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান দীর্ঘদিন ধরে এই সেতুটি সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ করে রাখা হয়েছিল। সাত মাস আগে একটি বেসরকারি সংস্থাকে সংস্কারের বরাত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফিটনেস সার্টিফিকেট ছাড়াই সেতুটি খুলে দেওয়া হয়েছে।