মহানগর ডেস্কঃ নতুন নিয়োগের দুর্নীতির পাশাপাশি এইবার অনিয়মের অভিযোগ উঠল শিক্ষক বদলিতেও। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু সোমবার তাঁর এজলাসে বদলি সংক্রান্ত একটি মামলায় মন্তব্য করেন, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে ঢালাও বদলি আরেকটা দুর্নীতির রাস্তা। আদালতের স্পষ্ট দাবি, যাঁদের নজর শুধুই বদলিতে তাঁদের চাকরি ছেড়ে দেওয়া উচিত। পড়ুয়াদের প্রতি শিক্ষকদের আরও সহমর্মিতা দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঢালাও বদলির ফলে পুরুলিয়ার বহু উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধের পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে বলে এ দিন আদালতে জানানো হয়। তারপরেই আদালতের নির্দেশ, পুরুলিয়ার প্রতিটি স্কুলের পড়ুয়া – শিক্ষক অনুপাত খতিয়ে দেখে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে রিপোর্ট দিতে হবে হাইকোর্টে।
জেলা স্কুল পরিদর্শক এদিন কোর্টে জানান, ঢালাও বদলির কারণে জেলার সব স্কুলের অবস্থাই খারাপ। ৬০ শতাংশ শিক্ষক বদলি নিয়ে অন্য জেলায় চলে গিয়েছেন। বহু স্কুল যার ফলে উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। ছাত্র – শিক্ষক অনুপাত বজায় রাখা যাচ্ছে না। ঝালদার একটি স্কুলে ১১৫৩ জন পড়ুয়ার জন্য ২১ জন শিক্ষক ছিলেন। ইতিমধ্যে ৮ জন বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। যা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে উচ্চ আদালত।
উৎসশ্রী পোর্টালের মাধ্যমে রাজ্য সরকার এই বদলি নীতি শুরুর পর থেকে যে কোনও ছুঁতয় ট্রান্সফার চাইছেন বলে আগেই জানিয়েছিল আদালত। বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, বদলি কোনও শিক্ষকের অধিকার হতে পারেনা। এটাই যদি বিধি না করা হয়, তাহলে গ্রামের স্কুলগুলোতে শিক্ষক পাওয়া যাবে না। শহরের স্কুলের অতিরিক্ত শিক্ষকদের সরকার কেন গ্রামের দিকে অথবা যেখানে প্রয়োজন সেইসব দিকে পাঠাবে না সেই প্রশ্নও তোলা হয় হাইকোর্টের তরফে।