মহানগর ডেস্ক : শীতকালে মূলত শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা অনেকের থাকে। বিশেষ করে যত ঠান্ডা বাড়ে ততই যেন সমস্যা বাড়তে থাকে। এবং শীতকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়। শুধু তাই নয় অভ্যাসবশত অনেকেই শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করেন। চিকিৎসকেরা বলছেন এই অভ্যাস মারাত্মক ক্ষতিকর। বরং শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা জলে স্নান করলে বিকল হয়ে যেতে পারে হৃদযন্ত্র। মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে সেই সময়ে।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী শীতের সময় হঠাৎ জল দেহের সংস্পর্শে এলে ঠান্ডা রক্ত প্রবাহে রক্ত জালিকা গুলি সংকুচিত হয়ে যায় রক্ত সঞ্চালন অত্যন্ত ধীর হয়ে পড়ে। সারা দেহে রক্ত সরবরাহ না হলে হৃৎযন্ত্র নিজের গতি বাড়িয়ে দেয়। ফলে হঠাৎ করে বেড়ে যায় রক্তচাপ। অচিরে বিপদ ডেকে আনতে পারে সেই ঘটনা।
শীতকালে ঠান্ডা জলে স্নান করতে গিয়ে ছিদ্রকে আক্রান্ত হওয়া এবং সেখান থেকে মৃত্যু হওয়া কোন ঘটনা দেখতে পাওয়া গেছে বহুবার।
তাই এই ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন দেখে নিন…
-শীতকালে কখনোই ঠান্ডা জলে স্নান নয়। হালকা গরম জল মিশিয়ে চান করুন। ঠান্ডা আবহাওয়া স্নান করতে গেলে এমনিতেই আরষ্ট লাগে। তার ওপর দেহের তাপমাত্রার সঙ্গে স্নানের জলের তাপমাত্রার যদি অত্যন্ত ফারাক হয়ে যায় তাহলে অস্বাভাবিক সমস্যা দেখা দেয়।
– শরীরকে গরম রাখতে অবশ্যই গরম পোশাক পরা উচিত। তাই ভেতর থেকে শরীরকে গরম রাখতে হিট বস্ত্র পড়ুন।
– কাল সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে অনেকের ইচ্ছা করে না। তা সত্ত্বেও উঠতে হয়। তবে চেষ্টা করুন একটু সময়ের আগে উঠতে হলে ঘাটি শরীর চর্চার মতো কসরত করার সময় থাকবে না। এগুলি করলে শরীর নিজে থেকে যেমন ফিট থাকে। কেমন ভেতর থেকে গরম হয়।
– শীতকাল মানেই খাওয়া-দাওয়ার একটা আলাদা মৌসুম। পছন্দমত খাবারগুলি খাওয়া যায় শীতকালে। আর এতেই হয় সমস্যা। অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত খাবার খেয়ে ফেলার ফলে শরীরে সুস্থ থাকার রসদ কমে যায়। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব টাটকা সবজি সতেজ ফলমূল খাওয়া যায়। তিনি দেওয়া খাবার বা প্রক্রিয়া খাবার এই সময় যতটা পারেন এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে বাড়াতে পারেন খাবারে আদার ব্যবহার।
– সর্বশেষ এবং সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যেটা শীতকালে পর্যাপ্ত পরিমাণ জল আমরা কেউই খাই না। চেষ্টা করুন যতটা পারবেন জল খাওয়ার। কারণ শরীর যদি ভেতর থেকে শুকিয়ে যায় তাহলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।