বিক্রম ব্যানার্জী: বিগত টেস্ট সিরিজে ভারতের কাছে হোয়াইটওয়াশ হতে হয়েছে পদ্মা পাড়ের দল বাংলাদেশকে। যার সম্পূর্ণ দায়ভার গিয়ে পড়েছে দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর। দলের পরাজয়ে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠেছিল একাধিক প্রশ্ন। এহেন আবহে শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক পদ থেকে থেকে সরে যেতে পারেন ক্রিকেট তারকা। ফলত শান্তর পর দলের অধিনায়ক কে হবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
বাংলাদেশের অধিনায়ক পদ ছাড়ছেন শান্ত!
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পরই বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শান্ত। সম্প্রতি এমনই এক তথ্য প্রকাশ করেছে ক্রিকেট সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট। যেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক পদ থেকে শান্তর ইস্তফা এক প্রকার ফাইনাল। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান ফারুক আহমেদ বিদেশ থেকে ফিরলেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।
শান্তর নেতৃত্ব ছাড়ার প্রসঙ্গে বিসিবির এক কর্মীও এই বিষয়ে মত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দলের অধিনায়ক পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বোর্ডকে আগেই জানিয়েছিল শান্ত।’ বাংলাদেশের হয়ে অধিনায়কত্ব করার বিষয়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করে শান্তর বক্তব্য, ‘তিনি বোর্ড প্রধানের অনুমোদনের আশায় রয়েছেন। তার কাছ থেকে অনুমতি পেলেই নেতৃত্ব ছাড়বেন খেলোয়াড়।’ তবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর অধিনায়ক পদ থেকে শান্ত ইস্তফা দিলে দল যে সমস্যায় পড়বে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
যদিও শান্তর পর দেশের ক্রিকেট দলে অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন দুই খেলোয়াড়। বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আগামী দিনে বাংলাদেশের টেস্ট ও ওয়ানডে দলের অধিনায়ক হিসেবে মেহেদি হাসান মিরাজের কথা ভাবা হচ্ছে। সেই সাথে টি-টোয়েন্টির অধিনায়ক হিসেবে দেশের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারেন তাওহিদ হৃদয়।’ তবে কোনও কিছুই এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে কী পরিবর্তন হচ্ছে তা জানা যাবে শান্তর অধিনায়কত্ব ছাড়ার পরই।