মহানগর ডেস্কঃ অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার মৃত্যুর পরে কেটে গেছে দুটো সপ্তাহ। মাত্র ২৪ বছর বয়সে দু’দুবার ক্যান্সার আক্রান্ত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপরেও জয় করেছিলেন ক্যান্সারকে। কিন্তু শেষ বারের ক্যান্সার জয়ের পরে বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিপর্যয়। আচমকাই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে টানা ২১ দিনের লড়াইয়ে অবশেষে মৃত্যুই ঐন্দ্রিলার পরিণতি।
তাঁর মৃত্যুর পরে ঐন্দ্রিলার মায়ের বিস্ফোরক অভিযোগ। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. পিয়া ঘোষের গাফিলতিতেই মৃত্যু হয়েছে ঐন্দ্রিলার, এমনই দাবি ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মার। তিনি আরও অভিযোগ করেন, চিকিৎসক কখনও এসে ঐন্দ্রিলার শরীর স্পর্শ করেননি। বাইরে থেকে ডাক্তার এসে কোনও প্রেস্ক্রিপশন দিলে সেই প্রেস্ক্রিপশন ফলো করার কোনও চেষ্টাই করেননি ডা. পিয়া ঘোষ, এমনই দাবি। এক্ষেত্রে তিনি দায়ি করছেন চিকিৎসক পিয়া ঘোষের ইগোকেই।
এদিন শিখা শর্মা জানান, ডা পিয়া ঘোষ ঐন্দ্রিলাকে দেখতে আসার সময় নিজের পায়ের জুতো খুলতেন না। এমনকি, অক্সিজেন লেভেল কমে গেলে বাড়ানোর চেষ্টা করেননি চিকিৎসক। ব্লাড জোগাড় করে দেওয়া সত্ত্বেও সময়মত ঐন্দ্রিলাকে দেওয়া হয়নি ব্লাড। পাশাপাশি তিনি জানান, ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর পরে সব ডাক্তাররা ঐন্দ্রিলাকে দেখতে এলেও রবিবারের ছুটির জন্য আসেননি ডা. পিয়া ঘোষ।
তবে এত অভিযোগ সত্ত্বেও শিখা শর্মা জানিয়েছেন, অপারেশন থিয়েটারের ডাক্তারদের সহযোগিতার কথা। সেই ডাক্তাররা ঐন্দ্রিলার চিকিৎসার জন্য বাইরে থেকে ডাক্তার আনার পরামর্শও দেন। পাশাপাশি ঐন্দ্রিলার মা জানান, তাঁদের পরিবার ওই বেসরকারি হাসপাতালের নার্সিং স্টাফদের ব্যবহারে যথেষ্টই সন্তুষ্ট।
এদিন ঐন্দ্রিলার মা শিখা শর্মা জানান, মেয়ের স্বপ্ন ছিল ভবিষ্যতে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি করার। সেই স্বপ্নকেই আগামী দিনে বাস্তবায়িত করতে চান তাঁরা। একইসঙ্গে তিনি জানান, মেয়ের বন্ধু সব্যসাচী চৌধুরির কথাও। তিনি জানিয়েছেন, সব্যসাচী নিজের মত করে স্থির থাকার চেষ্টা করছেন।