মহানগর ডেস্কঃ ভারত যে হারে জ্বালানি তেল কিনেছে, সেই হারে পেলে পাকিস্তানও রাশিয়া থেকে তেল কিনতে ইচ্ছুক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে থাকাকালীন এমনই মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী ইসহাক দার। তবে সেই দাবিকে সরাসরি নাকচ করে দেয় রাশিয়া। এরপরেই রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা দেয় পাক প্রতিনিধিদের একটি দল। কিন্তু সেই দৌত্যও ব্যর্থ হয়।
রাশিয়ার উদ্দেশে রওনা রওনা দেওয়া পাকিস্তানের এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন, দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী মুসাদ্দিক মালিক, পাকিস্তান এম্ব্যাসির যুগ্ম-সচিব দহ আরও একাধিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তি। এই দৌত্যে রাশিয়ার কাছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ সস্তায় পেট্রোলিয়াম কেনার দাবি জানায় তাঁরা। এদিকে রাশিয়ার তরফে সরাসরি সে প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়। এর আগে শেহবাজ শরিফের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর তরফে জানানো হয়েছিল, ভারত যে হারে জ্বালানি কনছে সেই হারে পাকিস্তআনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হলে পাকিস্তান রাশিয়ার থেকে জ্বালানি কিনতে প্রস্তুত। পাশাপাশি আরও দাবি উঠেছিল, পাকিস্তানও থেকে ছাড়ের জ্বালানি আমদানিতে পশ্চিমীদের কোনও সমস্যাই হবে না । কিন্তু তাতেও ভেজেনি চিঁড়ে। একপ্রকার আশাহত হয়েই ফিরতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠতেই আমেরিকা কূটনীতির মাধ্যমে তাঁর সরকারের পতন ঘটায়। এই আবহে আমেরিকায় দাঁড়িয়ে রাশিয়া থেকে তেল কেনার কথা বললেন পাকিস্তানী মন্ত্রী ইসহাক। এর আগে বিদেশী নীতি প্রসঙ্গে ভারতের প্রশংসা করেছেন ইমরান খান। রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনার বিষয়টিকেও বারংবার উত্থাপিত করেছেন ইমরান। যদিও ইমরানের সঙ্গে ভ্লাদিমির পুতিনের সখ্যতা ভাল চোখে দেখেনি ওয়াশিংটন। এমনকি ইউক্রেনের যুদ্ধের শুরুর দিকে মস্কোতে ছিলেন ইমরান খান।
এদিকে আবার ভারত সরাসরি বারণ না করলেও রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়ে বারবার বার্তা দিয়েছে আমেরিকা। তবে ভারত নিজেদের স্বাধীন বিদেশ নীতির কারণেই মাথা নত করেনি। তবে পাকিস্তান সেই কাজে কতটা সক্ষম হবে তা নিয়েই সংশয় রয়েছে অনেকেরই।