মহানগর ডেস্ক : সন্দেশখালিকাণ্ডে শেখ শহজাহানের ভাই আলমগিরকে ১১ ঘণ্টা জেরার পর গ্রেফতার করল ইডি। আলমগিরকে জেরা করে আরও কিছু নাম সিবিআইর হাতে এসেছে।
শনিবার দ্বিতীয়বার নেটিশ পেয়ে আলমগির নিজাম প্যালেসে সিবিআইর তলবে হাজিরায় এসেছিল। আলমগির নিজাম প্যালেসে প্রবেশের সময় তদন্তে সহযোগিতার কথা বলেছিল। তারপর টানা ১১ ঘণ্টা ইডির জেরার পর সন্দেশখালির বাঘের ভাই গ্রেফতার হল। এই আলমগিরের নামেও সন্দেশখালির মহিলারা একাধিক অভিযোগ করেছে। যার ফলে আলমগির তার দাদার বেপাত্তা হওয়ার পর কয়েকদিন দেখা দিলেও শেষ পর্যন্ত আড়ালে চলে যায়। তার বাড়িতে সিবিআই প্রথম নোটিশ দিতে গেলে সেটি তার পরিবারের সদস্যরা গ্রহণ করেনি। পরে দ্বিতীয় নোটিশের ক্ষেত্রেও আলমগিরের পরিবার নোটিশ না নিলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার বাড়ির দেওয়ালে হাজিরার নোটিশ বা সমন আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিয়ে আসে। শনিবার সকালে নিজাম প্যালেসে হাজিরায় পৌঁছেও যায় আলমগির। তারপর ১১ ঘণ্টা জেরার পর তাকে সিবিআই তদন্তে অসহযোগিতার জন্য গ্রেফতার করে।
গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের উপর কি ভাবে হামলা হয়েছিল, কারা হামলায় জড়িত ছিল সেই বিষয়ে জানতে চায় সিবিআই তদন্তকারীরা। আলমগির সিবিআইর প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে তদন্তকারী অফিসারদের ঘোল খাওয়াবার চেষ্টা করে। তদন্তে অসহযোগিতা করার জন্য তারপর সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা দিল্লিতে তাদের দফতরের পদস্থ কর্তাদের ফোন করে। শেষ পর্যন্ত দিল্লি থেকে সবুজ সংকেত পেয়ে কলকাতার নিজাম প্যালেসে সিবিআই আলমগিরকে গ্রেফতার করে।
এর আগে সন্দেশখালিতে সিবিআই তদন্তে গিয়ে শেখ শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগিরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অনেক নাম পায়। এরা সবাই সন্দেশখালির বাসিন্দা হলেও তাদের হদিশ পায়নি সিবিআই।
শনিবার ১৫ জনকে নিজাম প্যালেসে ডাকা হয় শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠকে, এদের মধ্যে শেখ শাহজাহানের ভাই আলমগির সহ মোট ৩ জনকে সিবিআই গ্রেফতার করে। আলমগিরের সঙ্গে যে দুজনকে সিবিআই গ্রেফতার করে তার মধ্যে একজন মাফিজুল মোল্লা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা। অন্যজনের নাম সিরাজুল মোল্লা।
আজই ধৃতদের মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হবে। তারপর রবিবার আলমগির সহ অন্যদের বসিরহাট আদালতে সিবিআই পেশ করবে।
এদিকে শনিবার রাতেই সন্দেশখালিতে সিবিআইর তিনটি দল সন্দেশখালি, সরবেরিয়া ও অন্য জায়গায় যায়। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে জয়ন্ত পাইক নামে তৃণমূলের এক যুব নেতার খোঁজমপান। তবে জয়ন্ত পাইন পলাতক। সিবিআই টিম মেহেবুল মোল্লার বাড়ি যায়। সে এখন পুলিশ হেফাজতে। শেখ শাহজাহান পরিচিত চারজনের বাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় সিবিআই হানা দেয়। তাদের বাড়িতে না পেয়ে আগামীকাল নিজাম প্যালেসে হাজিরার নোটিশ দিয়ে আসে।