মহানগর ডেস্কঃ যেকোনো কাজ করতে গেলে সবার আগে যেটার দরকার পরে তা হলো শরীর চাঙ্গা থাকা এবং মাথা ভালো মতো কাজ করা, যেন মাথায় কোনো চাপের সৃষ্টি না হয়। তানাহলে কাজের ব্যাঘাত ঘটবে। তার জন্য খেয়াল রাখতে হবে শরীর যেন দুর্বল না থাকে। শরীর ভালো রাখতে হলে ভিতর থেকে ভালো রাখতে হবে, যাতে শরীরে যথাযথ পুষ্টি গুন সম্পন্ন হয়ে শরীর ভিতর থেকে মজবুত করে তুলতে পারে। শরীর ভালো থাকলে যেকোনো কাজ করতে মনের মধ্যে একটা আলাদাই এনার্জি ভরপুর থাকে। পাশাপাশি কাজের গুণগত মানও ভালো হয়। অনেকে আছেন যারা রান্না করতে খুব একটা পছন্দ করেন না বা যারা অফিসে কাজ করেন তাঁরা ভীষণ ভাবে অনলাইন খাবারের ওপর নির্ভরশীল। কিছু জন আবার খিদে পেলেই অনলাইনে বাইরের খাবার অর্ডার করে খান। এত গরমে আপনি যদি এমনটা করতে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার শরীর খারাপ হতে পারে। এই গরমে কাজের প্রবল চাপের মধ্যে শরীর সুস্থ রাখতে বাইরের খাবার ত্যাগ করুন। এর পাশাপাশি রোজকার খাবারের তালিকায় কিছু খাবার যোগ করুন।
ভাত এবং রুটি: অনেকে আছেন যারা ভাবেন ভাত খেলে মোটা হয়ে যাবেন। নিজের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন অনেকেই আছেন, সাদা ভাত খান না অনেকেই। কেউ কেউ আবার এমন আছেন যে রুটি খেতে একদম পছন্দ করেন না, কিনা একটু বেশি চিবিয়ে খেতে হয়। কিন্তু শরীর কে ভিতর থেকে সুস্থ রাখতে গেলে এই ভাত, রুটির জুড়ি মেলা বেশ ভার। তাই সারাদিনে পরিমাণে অল্প হলেও কিন্তু রোজ কারের খাবারের তালিকায়, ভাত এবং রুটি রাখতে হবে।
বিভিন্ন রকমের ডাল: সবরকম ডালেই বিভিন্ন রকম প্রোটিন পাওয়া যায়। তার জন্য ডাল একটি স্বাস্থ্যকর পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ খাবার বললেও চলে। মুসুর,বিউলি,মুগ,অড়হড় ডালে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ থাকে। তাই চটজলদি পুষ্টি পেতে গেলে ডাল একটি অন্যতম খাবার। তাই রোজকারের খাবারের তালিকায় ডাল রাখুন।
স্বাস্থ্যকর জলখাবার : বিকেল হলেই মন কেমন যেন জিগেস করে আজ সন্ধে বেলায় কি খাওয়া যায় তাইতো? কারোর ইচ্ছে হয় বার্গার, পিৎজা খেতে কারোর মন চায় চপ-শিঙাড়া খেতে। কিন্তু এর পরিবর্তে খেতে পারেন ড্রাই ফ্রুটস, গ্র্যানোলা, বাদাম, মিল্ক শেক এবং প্রোটিন বারের মতো কিছু স্বাস্থ্যকর খাবার।
গ্লুকোজ-ওআরএস জাতীয় জল, ফলের জুস খান: কোল্ড ড্রিঙ্ক জাতীয় দ্রব্য এই গরমে এড়িয়ে চলুন। তার পরিবর্তে ফলের রস খান, গ্লুকোজ খান। ওয়ারএসও খেতে পারেন। নাহলে চিনি নুন লেবু জলে গুলে খান যখনই শরীর দুর্বল মনে করছেন। রোজ কারের তালিকায় এগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন।