মহানগর ডেস্কঃ একদিকে তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের প্রবেশনারি অফিসার, অন্যদিকে তিনি একজন দক্ষ সংগঠক। তিনি ব্যাঙ্কিং ট্রেড ইউনিয়নের অন্যতম ব্যক্তিত্ব সৌম্য দত্ত। দীর্ঘ ৩৬ টা বছরের কর্মজীবন তাঁর। সেই কর্ম জীবনের সমাপ্তি হল ৩০ নভেম্বর। তবে তাঁর এই অবসর শুধু যে কর্ম জীবনের সমাপ্তি তাই নয়, অবসরের সঙ্গে সঙ্গে সমাপ্তি হল একটা যুগেরও।
প্রবেশনারি অফিসার হয়েও কখনও স্টেট ব্যাঙ্কের সর্বোচ্চ আধিকারিক, এম ডি অথবা ডিএমডি হওয়ার জন্য ইঁদুর দৌড়ে নিজেকে সামিল করেননি সৌম্য বাবু। তবে নিজের সাংগঠনিক দক্ষতায় সদস্যদের অফুরান ভালবাসায় তিনি বেঙ্গল সারকেলের এসবিআই ওএ-র পাশাপাশি হয়ে ওঠেন গোটা দেশের সব ব্যাঙ্কের শীর্ষ নেতা। গোটা দেশ জুড়ে যখন ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের একটা হাওয়া, তখন তাঁর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল গোটা দেশ জুড়ে ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণ বিরোধী আন্দোলন। তাঁর বিখ্যাত শ্লোগান ‘ব্যাঙ্ক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ অজান্তেই জনগণের মুখে মুখে ধ্বনিত হতে থাকে। এমনকি সাংসদদের মুখে মুখেও এই শ্লোগান বিরোধীতার অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
সৌম্য দত্তর কর্মজীবনের সমাপ্তিতে বিগত ২৬ নভেম্বর মহাজাতি সদনে সর্ব ভারতীয় নেতৃত্ব ও স্টেট ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান দীনেশ খাঁড়ার উপস্থিতিতে এক বর্ণময় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁকে সম্বর্ধিত করা হয়। তবে এতেই শেষ নয়। ৩০ নভেম্বর, বুধবার তাঁর কর্মজীবনের শেষ দিনে তাঁর অফিসের ডিজিএম সহ অন্যান্য সহ কর্মীরা তাঁকে সংবর্ধনা জানান।
সৌম্য দত্তর হাতে তুলে দেওয়া হয় তাঁর প্রিয় দুই ফুটবল ক্লাবের জার্সি। চাকরি জীবন শেষ হলেও তাঁর আগামী জীবনের চিন্তা ভাবনা কি এই আন্দোলনকে আগের মতই সমৃদ্ধ করবে? সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন সৌম্য বাবুর সহকর্মীরা। ব্যাংক বেসরকারিকরণ আগামী দিনে হবে কিনা তা প্রশ্নের মুখোমুখি হলেও তাঁর বিরোধী আন্দোলনের পথিকৃৎ হিসেবে সৌম্য দত্তর নাম যে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে তা মেনে নিয়েছেন তাঁর সহকর্মী এবং পরিচিত সকলেই।