মহানগর ডেস্ক : বান্ধবীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জেরে সমকামিতার (Same Sex) সন্দেহ। মালদায় সেই সন্দেহে বান্ধবী ও সহপাঠিনীর কাছ থেকে আলাদা করায় আত্মঘাতী (Suicide Committed By Girl Student) হল এক দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান পরিবারের লোকজনেরা। আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর দিকে সন্দেহের আঙুল তুলেছেন মৃত ছাত্রীর বাবা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তে কিছু ম্যাসেঞ্জার চ্যাট, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, ভিডিও,ছবি আটক করেছে। যাতে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ইঙ্গিত মিলেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জেরায় মৃত ছাত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী স্বীকার করে মৃত ছাত্রীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা দুজনেই বুঝতে পেরেছিল তাদের এই সম্পর্ক বাড়ির লোকেরা মেনে নেবেন না। এরপরই তারা বাড়ি ছেড়ে শহর থেকে কিছুটা দূরে দমদমে হোস্টেলে থাকতে শুরু করে।
কিন্তু বান্ধবীর বাবা হোস্টেলে গিয়ে বান্ধবীকে জোর করে ফেরত নিয়ে আসেন। এরপর তার সঙ্গে মৃত বান্ধবীর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এই ঘটনায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে বান্ধবী। ছাত্রীর বাবা জানান তিনি অবাক যে দুজন মহিলার মধ্যে এরকম সম্পর্ক কীকরে তৈরি হতে পারে। যদিও অভিযুক্ত বান্ধবীর পরিবার দুজনের মধ্যে রোমান্টিক সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে। অভিযুক্ত ছাত্রীর বাবা জানান তার মেয়ে একজন ছেলের সঙ্গে কলকাতায় গিয়েছিল। যদিও তার সঙ্গে সম্পর্কে রাখার ব্যাপারটা মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। মৃত ছাত্রীর পরিবার জানায়, তাদের মেয়েকে এই ঘটনার জন্য দায়ী করে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী টাকা দাবিও করে তার বান্ধবীর পরিবার। এই ঘটনায় তাদের মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তারপর সে চরম পথ বেছে নেয়। মৃত ছাত্রীর কাকার দাবি এর পেছনে সমকামিতার কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।