মহানগর ডেস্কঃ স্ত্রী সরকারি চাকরি পেলেই স্বামীকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। সেই আশঙ্কা থেকেই স্ত্রী রেণু খাতুনকে কঠিন শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। ডান হাত থেকে কবজি কেটে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল রেণু খাতুনের। গত ৫ জুন ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী রেণু খাতুনের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী কুর্নিশ জানিয়েছিলেন রেণু খাতুনের লড়াইকে। সরকারি চাকরি, কৃত্রিম হাতের ব্যবস্থা করে দেওয়ার পাশাপাশি দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রশাসনকে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশমতো এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় রেণুর স্বামী সহ পরিবারের আরও পাঁচ সদস্যকে। বর্তমানে ওই পরিবারের পাঁচ সদস্যই জামিন পেয়ে গেছেন। জেল বন্দি একমাত্র রেণুর স্বামী সরিফুল। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা খুনের চেষ্টার ধারাও তুলে নেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এরপর থেকেই জামিনে মুক্ত সরিফুলের বাবা-মা ও তিন সহযোগীর বিরুদ্ধ রেণু এবং তাঁর সাক্ষীদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কেতুগ্রাম থানার পুলিশের কাছে এমন অভিযোগ জানিয়েছেন রেণুর বাবা আজিজুল। আজিজুলের অভিযোগ ওই পাঁচ সদস্য কেতুগ্রামের কোজলসা বাস স্ট্যান্ডে এই হুমকি দিয়েছেন। যদিও কবে এই হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই বিষয়ে কোনও কিছুই জানাননি তিনি। এই ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত রেণু নিজেও। তিনি জানান এত তাড়াতাড়ি জামিনে এই পাঁচ জনের মুক্তিতে তাঁরা রীতিমত অভাব বোধ করছেন। জামিন পেয়ে বাইরে এসে হুমকি দেওয়ায় তাঁরা রীতিমত ভীত। তিনি অনুরোধ করেন পুলিশ আরও শক্তভাবে বিষয়টি দেখুক।
এই প্রসঙ্গে জেলা শাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলার মন্তব্য, পুলিশ বিষয়টাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখবে। এ রকম অভিযোগ এলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রেণু বা তাঁর পরিবারের যাতে সমস্যা না হয় তা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসও দেন তিনি।
কাটোয়ার বিধায়ক এবং জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, মুখ্যমন্ত্রী রেণুর পাশে রয়েছেন। অপরাধীদের উপযুক্ত সাজা সকলেরই কাম্য। তবে আদালত কাউকে জামিন দিলে বা কোনও ধারা বাদ দিলে তা নিয়ে কারও কিছু বলার থাকতে পারেনা বলেই তিনি জানান। তবে নতুন অভিযোগ যাতে পুলিশ গুরুত্ব দিয়ে দেখে সেই সেদিকে নজর রাখা হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।