মহানগর ডেস্ক: ফের প্রকাশ্যে ত্রিপুরার বেকারত্বের হার। চরম অস্বস্তিতে পড়ল উত্তর-পূর্বের বিজেপি শাসিত এই রাজ্য। প্রকাশিত হয়েছে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র রিপোর্ট। যাতে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি বছরের মে-আগস্ট মাসে ত্রিপুরায় (Tripura) বেকারত্বের হার সর্বাধিক হয়ে উঠেছিল। করোনা পরিস্থিতির পর যেখানে গোটা দেশে বেকারত্বের হার হ্রাস পেয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় চরম আকার ধারণ করেছে বেকারত্বের হার। যা রীতিমতো ফের কাঠগোড়ায় তুলল বিজেপির সরকারকে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী বলা যায়, ত্রিপুরায় বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ১৭ শতাংশ। এদিকে ঠিক এই সময়ই যেখানে দেশে বেকারত্বের হার গড়ে ৬.৪৩ শতাংশ হারে কমে গিয়েছে বলে দাবি করছে এই রিপোর্ট। অর্থাৎ বলা যায়, স্বাভাবিকভাবেই মুখ পুড়েছে ত্রিপুরার বিজেপি নেতৃত্বের। যা নিয়ে রীতিমতো বিরোধীরা ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করতে শুরু করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।
এদিন কুণাল ঘোষ সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি ইংরেজি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট প্রকাশ করে লেখেন, ‘এটা তথাকথিত ডাবল ইঞ্জিন সরকারের ফল.. যার কৃতিত্ব চোখ বন্ধ করে দেওয়া যায় বিজেপিকে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আরও একটি কথা বলতেই হয়, ত্রিপুরায় সিপিএমের অবদানও উপেক্ষা করার মতো নয়।’
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরায় বেকারত্বের হার দিনের পর দিন বাড়ছে। যাকে হাতিয়ার করেই ক্ষমতা লাভ করার চেষ্টা করেছিল বাংলার শাসক দল। কিন্তু তা আদতেই সম্ভব হয়নি। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বেকারত্ব যে হারে বাড়ছে, সেই জায়গা থেকে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে নতুন মুখ্যমন্ত্রী মনোনয়ন করেও কোন লাভ মেলেনি কেন্দ্রীয় শাসক দলের। তারই ফলাফল এবার আবার স্পষ্ট হয়ে উঠল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যে।