মহানগর ডেস্ক: যত খুশি পিৎজা খান, দাম দেবেন মৃত্যুর পরে!
বিক্রি বাড়াতে ও রেস্তোরাঁর সুনাম ছড়াতে খাবারের বড় বড় দোকানগুলি নানা কৌশল নিয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলতে তাদের বিভিন্ন স্কিম বহু ক্ষেত্রেই আলোড়ন ফেলে থাকে। বেশ আকর্ষণীয় সেই সব অফার, যাতে ক্রেতারা লুব্ধ হন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সফলও হয়। তবে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের (New Zealand) একটি পিজা আউটলেট, যা চমকে যাওয়ার মতো।
সেখানকার একটি পিৎজা বিক্রেতা সংস্থা যে অফার দিয়েছে,তেমন অফার এর আগে কেউ দিয়েছে কিনা জানা নেই। তাদের প্রস্তাব পিৎজা খান,পরে দাম মেটাবেন (Eat Pizza And Pay After Death)। যে দাম মেটানোর পদ্ধতিকে একটু কায়দা করে অন্যভাবে বলা হচ্ছে, এখন পিৎজা খান, মৃত্যুর পর দাম মেটাবেন। নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় পিজা চেন হেলস পিৎজা এমন প্রস্তাব নিয়ে বাড়ি বাড়ি প্রচারও শুরু করেছে। আর দাম মেটানোর ব্যাপারে কায়দা করে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে চলেছে। ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইট আফটারলাইফ পে ছশো ছেষট্টিজন ক্রেতাকে অফার দিয়েছে তারা পিৎজা কিনলে সঙ্গেসঙ্গে দাম মেটানোর কোনও ব্যাপার নেই।
তবে মরার আগে উইলে তিনি যেন সই করে যান যাতে তাঁর মৃত্যুর পর পরিবারের তরফে দাম মিটিয়ে দেওয়া হয়। ইনস্টাগ্রামে এই আশ্চর্য অফারের ভিডিওটি শেয়ার করেছে পিৎজা সংস্থাটি। ক্যাপশানে লেখা হয়েছে, আমরা হেলে জমিয়ে খাওয়ার জন্য অনেক সহজ রাস্তা করে দিয়েছি। চালু করা হয়েছে আফটার লাইফ পে-স্কিম। এই অফারে যে কেউ এখন পিৎজা খেয়ে পরে দাম মেটাতে পারবেন। সেই পরেটা অনেক পরে হতে পারে। এমনকী মৃত্যুর পরেও হতে পারে।
হেল পিৎজার সিইও বেন কামিং সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এমন চমকে দেওয়া অফার ক্রেতাদের মধ্যে বিপুল সাড়া ফেলেছে। নিউজিল্যান্ডের পিৎজাপ্রেমীরা এককথায় বোল্ড। তবে পিৎজা কেনার আগে উইলে তাঁদের সই করতে হবে, যাতে তাঁর মৃত্যুর পর টাকাটা তাঁর পরিবার দিয়ে দেয়।