নাগরিক ওয়েবডেস্ক: কর্ণাটকে এই প্রথম এক বালিকার দেহে ধরা পড়ল জিকা ভাইরাস। সোমবার রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে সুধাকর এই খবর জানিয়েছেন। রাইচুর জেলায় এক পাঁচ বছরের বালিকার দেহে ওই জিকা ভাইরাস ধরা পড়েছে। মন্ত্রী পরিষ্কার জানিয়েছেন, এনিয়ে কোনও আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। রাজ্য সরকার সমস্তরকম পদক্ষেপ নিচ্ছে। রোগ প্রতিরোধে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হচ্ছে। জানান, সরকার পুণের ল্যাবের রিপোর্ট থেকে জিকা ভাইরাস সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। গত ডিসেম্বরে পরীক্ষাটি করা হয় এবং আট তারিখে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে। তিনটি নমুনা পাওয়া গিয়েছে। দুটি নেগেটিভ ও একটি পজিটিভ। সরকার তীক্ষ্ন নজর রাখছে। সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী জানান কয়েকমাস আগে কেরল,মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশে জিকা ভাইরাসের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কর্ণাটকে এই প্রথম এই ভাইরাসের হদিশ মিলেছে। ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া নিয়ে পরীক্ষার সময় সিরামের ক্ষেত্রে এটি ধরা পড়ে। সাধারণত এই ধরণের দশ শতাংশ পুণে ল্যাবে পাঠানো হয়। সেখানে বিষয়টি ধরা পড়ে।
Uncategorized
Woman Walking With Lions : তিন পরাক্রমশালী সিংহকে সঙ্গে নিয়ে হেঁটে চলেছেন মহিলা, এই ভিডিও দেখলে হাত পা ঠান্ডা হবেই!
মহানগর ডেস্ক: দৃশ্যটা দেখলে যে কারোরই রক্ত ঠান্ডা হয়ে যেতে বাধ্য। ভিডিওটি দেখলে এরকমই হতে পারে সবার। ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে তিন পরাক্রমশালী পুরুষ সিংহর সঙ্গে খুব অনায়াসেই হাঁটছেন এক মহিলা (Woman Walking With Lions)। মহিলাকে কুর্নিশ জানাতেই হবে। যে সিংহকে দূর থেকে দেখলে অতি বড় সাহসীর ভয়ে, আতঙ্কে বুক শুকিয়ে যায়, সেই সিংহদের নিয়ে কীরকম শান্তভাবে হেঁটে চলেছেন তিনি, যেন কোনও ব্যাপারই নয়। তিনজন যেন তাঁর পোষা। মানুষ বা জন্তুর প্রাণ নিতে যাদের একটা থাবার আঘাত যথেষ্ট, সেই ভয়ঙ্কর সিংহ, একটা নয়, দুটো নয়, তিন তিনটি সিংহ নিয়ে হেঁটে চলেছেন তিনি! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি পোস্ট হতেই সেটি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
তবে মহিলাকে দেখে বোঝা যাচ্ছে না তিনি অতি সাহসী, না বোকা। মহিলাটির এমন শান্ত চলাফেরা দেখে একবারও মনে হচ্ছে না তিনি প্রথম এরকম কাজ করেছেন। বরং মনে হচ্ছে সিংহদের নিয়ে তাঁর এমন চলাফেরা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। ইনস্টাগ্রামে রোম খাড়া করা ভিডিওটি পোস্ট করেছে @ গার্ল ফ্রম প্যারাডাইস নাইন। মহাশক্তিশালী তিনটি মহিলাকে যেমন আক্রমণ করছে না, তাদের যিনি ছবি তুলছেন, তাঁকেও তারা আক্রমণ করেনি। ক্যামেরাম্যান তাদের ছবি অনায়াসেই তুলে গিয়েছেন। ভিডিও-র শেষদিকে দেখা গিয়েছে মহিলাটি ওই তিনটি সিংহের পিঠে আদর করে চাপড়াচ্ছেন। গা ধরে হালকা করে রগড়ে দিচ্ছেন। তবে আফ্রিকাতেও সিংহদের নিয়ে চলেন কেউ কেউ। সেদেশে বন্য জন্তুদের সঙ্গে তাঁদের সখ্য নিয়ে অনেক কাহিনি শোনা যায়। যদিও এই ভিডিও দেখে নেটিজেনরা চমকে উঠেছেন। কেউ কেউ সতর্কতা জানিয়েছেন কারণ বন্য জন্তুদের বিশ্বাস করা শক্ত। কখন কী হয়ে যায়।
Paraded With A Garland Of Shoes : চুরি সন্দেহে ক্লাস ফাইভের ছাত্রীকে ভূত সাজিয়ে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানো হল হোস্টেল চত্বরে!
মহানগর ডেস্ক: অমানবিক! চুরি সন্দেহে আদিবাসীদের সরকারি হোস্টেলের ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রীকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরালেন (Paraded With A Garland Of Shoes) হোস্টেলের মহিলা সুপারিনটেন্ডেন্ট। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের বেতুলে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলাপ্রশাসন। গত সপ্তাহে জেলার ডামজিপুরায় গ্রামে আদিবাসীদের হোস্টেলে এই ঘটনার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। মেয়েকে জুতোর মালা পরিয়ে ঘোরানোয় তার পরিবার জেলা কালেক্টরের দফতরে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে। মেয়েটির বাবার কাছ থেকে অভিযোগ শোনার পর জেলা কালেক্টর ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। তদন্তের পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে তিনি জানিয়েছেন।
ওই মহিলা সুপারিনটেন্ডেন্টকে পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে ডামজিপুরার আদিবাসী বিষয়ক দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে ছাত্রীটির বাবা জানিয়েছেন ডামজিপুরায় আদিবাসী বিষয়ক পরিচালিত হোস্টেলের আবাসিক তার মেয়ে তাঁকে ঘটনাটির কথা জানায়। তাঁর অভিযোগ মেয়েকে ভূত সাজিয়ে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে হোস্টেল চত্বরে ঘোরানো হয়। মহিলা সুপারিনটেন্ডন্টের অভিযোগ তাঁর মেয়ে অন্য একটি মেয়ের কাছ থেকে চারশো টাকা চুরি করেছে। এই ঘটনার পর হোস্টেলে থাকতে তাঁর মেয়ে রাজি নয় বলে সে জানিয়েছে। আদিবাসী বিষয়ক দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার শিল্পা জৈন জানিয়েছেন অভিযুক্ত মহিলা সুপারিনটেনডেন্টকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
Giant Mysterious Object: ফ্লোরিডার সমুদ্রতীরে রহস্যময় বস্তু ঘিরে চাঞ্চল্য, আসছে বিশেষজ্ঞ দল!
মহানগর ডেস্ক: আমেরিকার ফ্লোরিডার (Florida) ডেটোনা সমুদ্রতীরে বিশাল এক রহস্যময় বস্তু (Giant Mysterious Object) ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। রহস্যময় বস্তুটি কাঠ এবং সম্ভবত ধাতুর তৈরি বলে জানা গিয়েছে। লম্বায় আশি ফুট বলে জানা গিয়েছে। সমুদ্রতীরে বেড়াতে আসা লোকজনদের চোখে প্রথম নজরে পড়ে রহস্যময় বস্তুটি। সমুদ্রের প্রবল ঢেউয়ের জন্য তীরে পড়ে থাকা বস্তুটি কারো নজরে পড়েনি। কাউন্টির অধিকর্তারা জানান ওই রহস্যময় বস্তুটি এর আগে বালির নীচে চাপা পড়েছিল। এ বছরের শুরুতে হ্যারিকেন ইয়ান ও নিকোলে ভোলুসিয়া কাউন্টিকে তছনছ করে দেয়। বস্তুটি কে তা জানার চেষ্টা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে অসংখ্য জল্পনা চলছে। কারো কারো দাবি এটি কোনও প্রাচীন জাহাজের ধ্বংসাবশেষ। আবার কেউ কেউ জানিয়েছেন এটি একটি পুরনো জেটি বা জাহাজঘাঁটার টুকরো। আবার কেউ কেউ দাবি করেছেন রহস্যময় বস্তুটি কোনও খেলার সামগ্রী। ভোলুসিয়া কাউন্টি বিচ সেফটির মুখপাত্র জানিয়েছেন, এটি একটি রহস্যময় বস্তু। অনেকে ভাবছেন এটি প্রাচীন জাহাজের টুকরো। সমুদ্রতটে অভূতপূর্ব ক্ষয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলুসিয়া বিচ সেফটি ডেপুটি চিফ বহুদিন তাঁরা এমন ধরণের ভূমিক্ষয় দেখেননি। প্রায় পঁচিশ বছর ধরে তিনি রয়েছেন। এই প্রথম তিনি এমন ঘটনা দেখলেন। ফ্লোরিডার আন্ডারওয়াটার আর্কিওলজিক্যাল টিমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তারা সমুদ্রতীরে তোলা ছবি খুব ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখবে। প্রসঙ্গত, এ বছর জলবায়ু পরিবর্তনে সারা বিশ্বে একাধিক অস্বাভাবিক দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
Beheaded And Took Selfi: যুবকের মুণ্ডু কেটে কাটা মাথা নিয়ে সেলফি তুলল খুনির বন্ধুরা!
মহানগর ডেস্ক: ভয়াবহ, নৃশংস! সম্পত্তি বিবাদের জেরে ভাইপোর মুণ্ডু কেটে ফেলল মামা (Beheaded And Took Selfi)। তারপর সেই কাটা মুণ্ড নিয়ে সেলফি তুলল তার বন্ধুরা। ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটেছে পাশের রাজ্যে ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায় (Jharkhand) । আদিবাসী অধ্যুষিত মুরহু এলাকায় মৃতের বাবা দাসাই মুণ্ডার অভিযোগে খুনে মূল অভিযুক্ত ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এফআইআরে মৃতের বাবা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে কানু মুণ্ডা বাড়িতে একাই ছিল। পরিবারের বাকিরা খেতে চাষের কাজে গিয়েছিল। তিনিও বাড়িতে ছিলেন না।
খেত থেকে ফেরার পর তাঁকে গ্রামের লোকেরা জানায় তাঁর ছেলেকে তাঁর ভাইপো এবং তার বন্ধুরা তুলে নিয়ে গিয়েছে। ছেলেকে তন্নতন্ন করে খোঁজার পর তার হদিশ না পাওয়ায় পরের দিন তিনি থানায় এফআইআর করেন। অভিযুক্তকে ধরতে খুন্তি সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার অমিতকুমারের নেতৃত্বে একটি টিম গঠন করা হয়। অভিযুক্তকে ধরার পর কানুর মুণ্ডুহীন দেহ কুমাং গোপলা জঙ্গলে খুঁজে পায় পুলিশ। মাথাটি খুঁজে পাওয়া যায় পনেরো কিলোমিটার দূরে দুলহা টুংরি এলাকায়। পুলিশ জানায় মৃতের মুণ্ডু নিয়ে সেলফি তোলে অভিযুক্তের বন্ধুরা। মৃতের কাছ থেকে মোবাইল-সহ মোট পাঁচটি মোবাইল আটক করেছে পুলিশ। রক্তমাখা ধারালো অস্ত্র, কুঠার এং একটি এসইউভি গাড়িও আটক করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়ে জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদের জেরেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে।
Rail Compensation : চলন্ত ট্রেনে যাত্রীর বুক ফুঁড়ে লোহার রড, রেলের ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দিল পরিবার
মহানগর ডেস্ক: দিল্লিগামী নীলাচল এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটছিল প্রচণ্ড গতিতে। জানালার ধারের আসনে বসেছিলেন বত্রিশ বছরের হরিকেশকুমার দুবে। আচমকাই মোটা লোহার রড জানালা থেকে এসে ফুঁড়ে দিয়েছিল তাঁর বুক। আসনে বসেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন বছর বত্রিশের যুবকটি। তাঁর অকাল মৃত্যুতে দায় স্বীকার করে রেল ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছিল দেড় লক্ষ টাকা (Rail Compensation) । কিন্তু তাঁর শোকাহত পরিবার রেলের ক্ষতিপূরণের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে (Refused By Family)। উল্টে মৃতের বাবা রেলের লোকজনকে বলেছেন, এ টাকা চাই না। তার বদলে রেল তাঁর কাছ থেকে পাঁচলক্ষ টাকা নিয়ে যাক। ওই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছিল শুক্রবার, সকাল পোনে নটা নাগাদ। ট্রেন বুলন্দশহরের দাওয়ার এবং আলিগড়ের সোমনার মধ্য দিয়ে ট্রেনটি যাচ্ছিল।
ট্রেনের গতি ছিল ঘণ্টায় একশো তিরিশ কিলোমিটার। মৃতের পরিবার জানিয়েছে, হরিকেশ তাঁর স্ত্রী শালিনী ও সাত বছরের মেয়ে ও চার বছরের ছেলেকে নিয়ে উত্তর-পূর্ব দিল্লির শহরতলিতে গত আট বছর থাকতেন। করোনা অতিমারিতে চাকরি হারিয়েছিলেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থায় যোগ দিয়েছিলেন। হরিকেশের বোন ববিতা ত্রিপাঠি জানিয়েছেন, তিনি আট ভাইবোনের মধ্যে সব থেকে ছোট। ডিসেম্বরের পাঁচ তারিখে তাঁর জন্মদিন ছিল। বাড়ির সবাই হরিকেশের জন্মদিনের আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রেলের অবহেলার জন্য তাঁকে হারাতে হল।
তাঁর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ হিসেবে রেল দেড় লক্ষ টাকা দিতে চাইলেও তাঁরা তা নিতে চাননি। মৃতের বাবা উল্টে জানিয়েছেন রেল যেন তাঁর কাছ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়ে যায়। রাতে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব মৃতের পরিবারের সদস্যকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু রাজি হয়নি তাঁর পরিবার। বদলে মৃতের স্ত্রী ও এক আত্মীয়ের চাকরির দাবি করেছেন হরিকেশের বাবা শান্তারাম। জানান হরিকেশের দুটি ছোট ছেলেমেয়ে আছে। তারা বাঁচবে কী করে?
Birthday Celebrated Of Dog: তিনটি সোনার লকেট, সাড়ে চার হাজার টাকার স্যুট- তিনশো লোককে পেটপুরে খাইয়ে পালন করা হল কুকুরের জন্মদিন!
মহানগর ডেস্ক: কুকুরের মতো প্রভুভক্তের দেখা মেলা ভার। তাদের মতো এমন বিশ্বস্ত সঙ্গী পাহারাদার নেই বললেও চলে। অনেকসময় নিজের জীবন বিপন্ন করে প্রভুর প্রাণ বাঁচানোর ঘটনা সবার মনে দোলা দেয়। কিছুদিন আগে জেনেছিলাম এক পুরুষ কুকুরের ঘটা করে এক মেয়েকুকুরের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন এক গৃহকর্ত্রী। সে বিয়েতে যেমন গায়ে হলুদ থেকে বিয়ের সবরকম আচার অনুষ্ঠান হয়েছিল। রীতিমতো ভুরিভোজ করানো হয়েছিল অতিথিদের। অতিথিদের কেউ গানের বাজনায় নাচও করেছিলেন। এবার এমনই এক কুকুরের জমকালো জন্মদিন পালন হল ঝাড়খণ্ডে (Birthday Celebrated Of Dog)। গৃহকর্ত্রী ঘটা করে পালন করলেন পোষা কুকুরের জন্মদিন। জন্মদিনে নেমতন্ন করা হয়েছিল তিনশো মানুষকে (Invited Three Hundred People)।
গত বছরের নভেম্বরের উনত্রিশ তারিখে ওই মহিলা গিয়েছিলেন ধানবাদের কাছে লোয়াবাদে এক পেট্রল পাম্পে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান রাস্তায় একটি মা-কুকুর পড়ে আছে। সুমিত্রা নামে ওই মহিলা জখম পথে ঘুরে বেড়ানো একটি কুকুরের বাচ্চাকে উদ্ধার করেন। কুকুরের বাচ্চাটি বেঁচেছিল। তাকে সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। নাম দেন অস্কার। গত উনত্রিশ তারিখ সেই অস্কারের জন্মদিন পালন করলেন গৃহকত্রী। জন্মদিনে তাকে পরানো হল সাড়ে চার হাজার টাকার স্যুট। সোশ্যাল মিডিয়ায় অস্কারের জন্মদিন রীতিমতো ট্রেন্ডিং হয়ে ওঠে। আরতির পর জন্মদিনে কাটা হয় কেক। জন্মদিনে তার মালিক তিনটি সোনার লকেট উপহার দেন। কুকুরটির নিরাপত্তা কামনায় কালীমন্দিরে একটি পাঁঠাবলিও দেওয়া হয়। মালকিন সুমিত্রা জানান অস্কার আসার পর তাঁদের বাড়ি পুরো বদলে গেছে। এসেছে স্বাচ্ছন্দ্য। পরিবারের লোকেরা বিশ্বাস করেন অস্কার আসার পর তাদের জীবনটা পুরো বদল গিয়েছে। অতিথিদের ভুরিভোজ দেওয়া হয়েছিল জমিয়ে। জন্মদিন উপলক্ষ্যে যক্ষ্মা রোগীদের ফল দেন সুমিত্রা।
মহানগর ডেস্কঃ আধার – প্যান লিঙ্ক নিয়ে বহুদিন থেকেই চলছে। তবুও এখনও দেশের বহু নাগরিকের আধার ও প্যান কার্ড লিঙ্ক করা হয়নি। এবার এই ব্যাপারেও দেওয়া হয়েছে কড়া নির্দেশিকা। ২০২৩ এর ১ এপ্রিল থেকে আধার এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে। সেক্ষেত্রে এই দুটি কার্ড লিঙ্ক করার শেষ তারিখ রয়েছে ২০২৩ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত। যদি নির্ধারিত তারিখের মধ্যে আধার এবং প্যান লিঙ্ক না হয়, সেক্ষেত্রে প্যান কার্ডটির এক্সপায়ারি ডেট শেষ হয়ে যাবে। যদি প্যান কার্ড বাতিল হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে এটি শুধুমাত্র একটি প্লাস্টিকের কার্ডই হয়ে থাকবে। এটি আর কোথাও ব্যবহার করা যাবে না।
আয়কর আইন ১৯৬১ সালের আওতায় সমস্ত PAN কার্ড ধারকদের ৩১ মার্চ ২০২৩ এর আগে তাদের প্যান এবং আধার কার্ড লিঙ্ক করা বাধ্যতামূলক। যে প্যানগুলি আধারের সঙ্গে লিঙ্ক থাকবে না, ১ এপ্রিল, ২০২৩ এর পর থেকে বাতিল হয়ে যাবে। এই লিঙ্ক করা জরুরি এবং বাধ্যতামূলক।
আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড লিঙ্ক করানোর জন্য প্রথমে আয়কর ই – ফাইলিং ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সাইটে পেজের বাঁ দিকে কুইক লিংকের অপশন পাওয়া যাবে। এখানে ‘Link Aadhar’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখানে নিজের প্যান কার্ড নম্বর, আধার কার্ড নম্বর ও নিজের নাম লিখতে হবে। এই তথ্য দেওয়ার পরে একটি ওটিপি দেওয়া হবে। ওটিপি দেওয়ার পরে আধার এবং প্যান লিঙ্ক হয়ে যাবে।
ই-ফাইলিং ওয়েবসাইট www.incometaxindiaefiling.gov.in-এ যেতে হবে। এরপর সবার উপরে কুইক লিঙ্ক শিরোনামে ‘লিঙ্ক আধার’-এ ক্লিক করতে হবে। এর পর স্ক্রিনে একটি নতুন পেজ ওপেন হবে। এই নতুন পেজের উপরে থাকবে একটি হাইপারলিঙ্ক। সেখানে লেখা হবে, আপনি ইতিমধ্যেই আধার লিঙ্ক করার অনুরোধ করেছেন, তাই পরিস্থিতি জানতে খানে ক্লিক করতে হবে। এই হাইপার লিঙ্কে ক্লিক করলে প্যান এবং আধারের ডিটেইলস লিখতে হবে। ‘ভিউ লিঙ্ক আধার স্ট্যাটাস’-এ ক্লিক করতে হবে। ফলে দেখা যাবে, PAN আধারের সঙ্গে আদৌ লিঙ্ক করা আছে কিনা।
Mobile Ban In Temples : তামিলনাডুর সমস্ত মন্দিরে মোবাইল নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা মাদ্রাজ হাইকোর্টের
মহানগর ডেস্ক: তামিলনাডুর কোনও মন্দিরে মোবাইল নিয়ে ঢোকা যাবে না (Mobile Ban In Temples) । ধর্মীয় স্থানের পবিত্রতা রক্ষায় মোবাইল ফোন নিয়ে মন্দিরে ঢোকার ব্যাপারে নিষধাজ্ঞা জারি করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট (Order By Madras High Court)। মন্দিরে ঢোকার আগে দর্শনার্থীদের মোবাইল রাখতে হবে মন্দিরে তৈরি করা লকারে। নির্দেশ পালনের জন্য নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগেরও নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সুব্রামনিয়ম স্বামী মন্দিরে মোবাইল নিয়ে দর্শনার্থীদের ঢোকা নিষিদ্ধ করতে এক আবেদনের প্রেক্ষিতে এই নির্দেশ দেয় তামিলনাডুর উচ্চতর আদালত। আদালতে আবেদনকারী জানান মোবাইল ফোন সাধারণ দর্শনার্থীদের মনোযোগ অন্যদিকে চালিত করে এবং দেবদেবীর ছবি তুলে মন্দিরের নিয়ম ভঙ্গ করে থাকে।
আবেদনকারী আরও জানান ছবি তোলা মন্দিরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে এবং অনুমতি ছাড়া মহিলাদের ছবিও তুলে থাকেন অনেকে। এমনকী মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পোশাক বিধি রুজু করা দরকার। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে গোটা তামিলনাডু জুড়ে মন্দিরে মোবাইল নিয়ে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর আগে দিল্লির জামা মসজিদে বাড়ির লোক ছাড়া সেখানে মহিলাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ। যদিও মসজিদ কর্তৃপক্ষের ফতোয়া ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। দিল্লির মহিলা কমিশন ইমামকে নোটিস পাঠানোর কথাও জানায়। যদিও চাপের মুখে নির্দেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় জামা মসজিদ কর্তৃপক্ষ। তবে এবার তামিলনাডুর মন্দিরে মোবাইল নিয়ে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Forced To Wash All Dishes By MBA Students : বিয়েবাড়িতে সবার প্লেট,ডিস জোর করে ধোওয়ানো হল এমবিএ ছাত্রকে দিয়ে!
মহানগর ডেস্ক: অমানবিক! যে ঘটনার কথা জানার পর যে কোনও সংবেদনশীল মানুষের মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট। ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হওয়ার পর ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে এক এমবিএ পড়ুয়া বিনা নিমন্ত্রণে (Trespasser In Marriage Party) একটি বিয়ে বাড়িতে ঢুকে পড়েছে। সেখানে নিমন্ত্রিত অতিথি অভ্যাগতদের সঙ্গে পাত পেড়ে খাচ্ছে। আর তারপরই দেখা গেল তাকে ঘিরে ধরেছেন বিয়ে বাড়ির লোকজনেরা। তারপর তাকে দিয়ে বিয়ে বাড়ির খাওয়ার প্লেট জোর করে ধোওয়ানো হচ্ছে (Forced To Wash All Dishes By MBA Students)। কারণ সে বিনা নেমন্তন্নে বিয়ে বাড়িতে অনাহূত হয়ে ঢুকে পড়ে পেটপুরে খেয়েছে।
ভিডিওয় অবশ্য পড়ুয়ার মুখ অস্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে,যাতে লোকলজ্জা, অপমানের হাত থেকে রক্ষা পায়। ভিডিওয় দেখা গিয়েছে এমবিএ পড়ুয়া একটার পর একটা নোংরা প্লেট সে ধুয়ে চলেছে। একজনকে বলতে শোনা যায় জানো বিনা পয়সা খাবার খাওয়ার শাস্তি কি। বাড়িতে যেমন করে বাসন ধোয়, সেভাবে এখন নোংরা প্লেট ধোও। ভিডিওটি তোলা হয়েছে মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে। জানা গিয়েছে ওই ছাত্রটি ভোপালে এমবিএ পড়ে। একজন বলতে শোনা যায়, তুমি এমবিএ পড়ছো। তোমার বাবা-মা কি টাকা পাঠায় না? জবলপুরের বদনাম করেছো। কেমন লাগছে ডিস-প্লেট ধুতে? জবাবে তাকে বলতে শোনা যায় বিনা পয়সায় খেয়েছি, কিছু তো করতে হবে। ঘটনাটি বেদনাদায়ক। বিনানিমন্ত্রণে খাওয়া যেমন ঠিক নয়, শাস্তি হিসেবে তাকে দিয়ে বিয়ে বাড়ির একগাদা প্লেট,ডিস ধোওয়াটা মোটেই মেনে নেওয়া যায় না। এমবিএ ছাত্রের পক্ষে গোটা ব্যাপারটা কত অসম্মানের, সেটা যে কোনও সংবেদনশীল মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়া খুবই কষ্টের।