Home Uncategorized Release Of Rajib Gandhi Killers: স্বাভাবিক বিচারের নীতি লঙ্ঘন, রাজীব ঘাতকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্রীয় সরকার

Release Of Rajib Gandhi Killers: স্বাভাবিক বিচারের নীতি লঙ্ঘন, রাজীব ঘাতকদের মুক্তিকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল কেন্দ্রীয় সরকার

by Mani Sankar Debnath

মহানগর ডেস্ক: কংগ্রেসের পর এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (Central Government)। প্রাক্তন রাজীব গান্ধী হত্যামামলায় সাজাপ্রাপ্তদের (Release Of Rajib Gandhi Killers) মুক্তির নির্দেশের পর থেকেই প্রতিবাদে সরব হয়ে উঠেছিল কংগ্রেস। এমনকী সাজাপ্রাপ্তদের প্রাণদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন করার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় দলের প্রাক্তন সভানেত্রী ও প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর বিধবা স্ত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে তারা। এবার কেন্দ্রীয় সরকারও রায় পর্যালোচনার জন্য আর্জি জানাল সুপ্রিম কোর্টকে। একত্রিশ বছরের বেশি জেলে কাটাবার পর গত সপ্তাহে রাজীব হত্যামামলায় নলিনী শ্রীহরণ সহ ছজনকে মুক্তি দেয় শীর্ষ আদালত। গত তিন দশক ধরেই তাদের জেলে থাকার ঘটনা ঘিরে তামিলনাডুতে সেখানকার মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। তার সঙ্গে আবেগের বিষয়টিও তীব্র আকার নেয়। বিষয়টি রাজনৈতিক ইস্যু হয়েও দাঁড়ায়।

দলের সরকারই তামিলনাডুতে ক্ষমতায় এসেছে,তারা সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়। তার কারণ এর পেছনে ছিল তামিলনাডুর মানুষের আবেগ। এমনকী প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জে জয়ললিতাও সাজাপ্রাপ্তদের মুক্তির ব্যাপারে সক্রিয় উদ্যোগ নিয়েছিলেন। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্রীয় সরকার জানায় রাজীব হত্যামামলায় সাজাপ্রাপ্তদের পর্যাপ্ত শুনানি ছাড়াই তাদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে, যা স্বাভাবিক বিচারের নীতি লঙ্ঘন করা হয়েছে, যা বাস্তবিক অর্থেই বিচারের চ্যুতি ঘটিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানায় এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা অতীব গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এর সঙ্গে জনশৃঙ্খলা থেকে শুরু করে দেশের শান্তি ও অপরাধ সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক প্রভাব লক্ষণীয়। কেন্দ্রের বক্তব্য ছজন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে চারজন শ্রীলঙ্কার নাগরিক এবং তাদের সাজা দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যার অপরাধে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে।

তাদের ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আন্তর্জাতিক পরিধিতে ব্যাপ্ত এবং তা ভারতের সার্বভৌম ক্ষমতার মধ্যে পড়ছে। ১৯৯১ সালে তামিলনাডুর পেরামপুদুরে এক নির্বাচনী জনসভায় মানববোমা বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর। ওই ঘটনায় দোষী সাতজনের প্রাণদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত। তিরিশ বছরের বেশি জেলে কাটানোর পর সুপ্রিম কোর্ট নলিনী শ্রীহরণ-সহ ছজনকে ভালো ব্যবহারের জন্য মুক্তি দেয়। এর আগে মে মাসে আরেক সাজাপ্রাপ্ত এজি পেরারিভালানকে ওই একই কারণে মুক্তি দেয় সর্বোচ্চ আদালত। কংগ্রেসের প্রতিবাদ এবং কেন্দ্রীয় সরকারের রায় পর্যালোচনার আর্জির পাশাপাশি তাদের মুক্তির রায়কে তামিলনাডুর শাসকদল ডিএমেক-সহ অনেকেই স্বাগত জানিয়েছে।

You may also like