Highlights |
|
|
|
মহানগর ওয়েবডেস্ক: কথায় আছে যত দোষ , নন্দ ঘোষ৷ আর মোদী ও তাঁর দলবলের কাছে? যত দোষ সব বিরোধীদের৷ বিশেষ করে কংগ্রেস, বামেদের৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির পাড়ার নেতা- সবার এক রা৷ যাবতীয় দেশের সব সমস্যার জন্য কংগ্রেস ও শহুরে নকশালরাই মূল দায়ী৷ জেএনইউ হামলাতেও এর ব্যতিক্রম ঘটল না৷ স্বাভাবিকভাবেই এই বর্বরোচিত হামলার পুরো দায় কংগ্রেস, বাম ও আপ- এর ঘাড়ে চাপালেন কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকড়৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তো এতসবের পরেও সেই টুকরা গ্যাঙকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন৷ আসলে এসব কের তাঁরা কী আসল দোষীদের আড়াল করতে চাইছেন? প্রশ্ন বিরোধীদের৷
দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অশান্তি ছড়াচ্ছে কংগ্রেস, আম আদমি পার্টি ও বামপন্থী দলগুলি। সোমবার দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে বসে সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় বনও পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। রবিবার জেএনইউ-তে ঘটে যাওয়া তাণ্ডবের কড়া সমালোচনা করেও এর দোষ তিনি বিরোধীদের ঘাড়ে চাপান। একইভাবে এবিভিপি নেত্রী নিধি ত্রিপাঠি বিবৃতি দিয়ে এই ঘটনার জন্য বামেদের সরাসরি অভিযুক্ত করেছেন৷
জেএনইউ-র ঘটনায় নিন্দা প্রকাশ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘জেএনইউ-তে গতরাতে যা ঘটেছে আমি তার বিরোধিতা করছি এবং কড়া ভাষায় নিন্দা জানাচ্ছি। আম আদমি পার্টি, কংগ্রেস ও বামপন্থী দলগুলির কয়েকজন ক্রমাগত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অশান্তি ছড়াচ্ছে। এবং সেখানে হিংসার পরিবেশ তৈরি করেছে। এই বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষ।’ ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তাঁর প্রশ্ন, ‘এটা কী করে সম্ভব হয় যে এই ঘটনা ঘটার ১০ মিনিটের মধ্যে যোগেন্দ্র যাদব সেখানে পৌঁছে গেলেন। অন্যরাও সেখানে পৌঁছে গেলেন। যদি এটা একটা ষড়যন্ত্র না হয়ে থাকে তবে ওরা এটা জানলেন কী করে আর ওখানে সময়য় মতো পৌঁছালেন কী করে?’ তিনি আরও দাবি করেন, গত তিন দিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অশান্তি ছড়িয়ে রেজিস্ট্রেশনে ব্যাঘাত ঘটাতে চাইছে। বহিরাগতদের দিকে আঙুল তিনি অভিযোগ করেন, ‘গত তিনদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটানো হচ্ছে। আমাদের তদন্ত করে দেখতে হবে যে এর পিছনে কে রয়েছে। কারা ছাত্রদের মেরেছে।
এবিভিপি-র দিকে আঙুল ছাত্র সংসদের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে জেএনইউ-এর ছাত্র সংসদ বিবৃতি দিয়ে বলে, ‘এই হামলা চালিয়ে এবিভিপি-র গুন্ডারা। তাদের নিশানায় সাধারণ ছাত্র ছাড়া শিক্ষকরাও ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতেই লাঠি, রড, হাতুড়ি নিয়ে ঘুরে তাণ্ডব চালিয়েছে এবিভিপি-র মুখোশধারীরা। এই তাণ্ডবের ঘটনায় জড়িয়ে রয়েছে পুলিশও। তারা সংঘ সমর্থক প্রফেসরদের কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে নীরব ভূমিকা পালন করেছে এবং তাণ্ডব করতে গুন্ডাদের সাহায্য করেছে।’ যতারীতি তাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক বিজেপির ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ(এবিভিপি)৷