মহানগর ডেস্ক: নাগরিকত্ব আইন (CAA) নিয়ে ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে বঙ্গ রাজনীতি। বেশ কিছুদিন ইস্যুটি আড়ালে চলে যাওয়ার পর নতুন করে তা সামনে নিয়ে এসেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP)। এই ইস্যুকে সামনে রেখে পদ্মশিবির শাসকদলের বিরুদ্ধে একরকম অলিখিত যুদ্ধ ঘোষণা শুরু করে দিয়েছে তারা। উত্তর চব্বিশ পরগনায় মতুয়া অধ্যুষিত ঠাকুরনগরে এক সভা থেকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া চ্যালেঞ্জ (Challenge To CM Mamata Banerjee) ছুড়ে দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ঠাকুরনগরের সভা থেকে তিনি জানান, সিএনএ পশ্চিমবঙ্গে চালু হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি সাহস থাকে তাহলে সিএএ কার্যকর করাকে আটকান। বিজেপি নেতা বলেন, সিএএ কোনও নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না যদি তাঁর বৈধ নথি থাকে। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে শুভেন্দু বলেন, এ নিয়ে একাধিকবার তাঁরা আলোচনা করেছেন। এ রাজ্যে এই আইন কার্যকর করা হবে।
যদি কারো সাহস থাকে, তাহলে সিএএ কার্যকর করা আটকান। প্রসঙ্গত, নাগরিকত্ব আইন আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ,বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিস্টান শরণার্থীদের নাগরিকত্ব অনুমোদন দেওয়ার কাজ করবে সিএএ। তবে এ নিয়ে কোনও আইন এখনও তৈরি হয়নি,তাই এখনও কারোকেই এর অধীনে নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। শনিবার জনসভায় শুভেন্দু জানান, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদেরও নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত,রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মতুয়ারা এখন বিজেপি ও শাসকদল বিজেপিতে ভাগ হয়ে গিয়েছে। এ রাজ্যে আনুমানিক তিরিশ লক্ষ মতুয়া রয়েছেন। এই সম্প্রদায় অন্তত পাঁচটি লোকসভা আসন এবং নদিয়া, উত্তর ও চব্বিশ পরগনায় কম করে পঞ্চাশটি বিধানসভা ভোটে প্রভাব ফেলে আসছে। শুভেন্দুর পাশাপাশি বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরও জানিয়েছেন সিএএ পশ্চিমবঙ্গে বাস্তব ঘটনা এবং মোদী সরকার লক্ষ্য সফল করার দিকে এগোচ্ছে। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মন্তব্য করেন পঞ্চায়েত ভোট ও লোকসভা ভোটের আগে সিএএ তাস নিয়ে বিজেপি খেলা শুরু করেছে। তাদের একমাত্র লক্ষ্য ভোট ব্যাঙ্ক। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হতে দেওয়া হবে না সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ।