Home Featured CHINA: বিয়ের পরে বাচ্চা কবে হবে তা জানতে চেয়ে নবদম্পতিকে তাগাদা চিনের সরকারের

CHINA: বিয়ের পরে বাচ্চা কবে হবে তা জানতে চেয়ে নবদম্পতিকে তাগাদা চিনের সরকারের

by Arpita Sardar

মহানগর ডেস্কঃ ‘বাচ্চা কবে হবে?’ সদ্য বিবাহিত দম্পতির কাছে পরিবার-পরিজন থেকে প্রতিবেশীর এই প্রশ্ন তো চির চেনা। যুগ যুগ ধরে নব দম্পতির কাছে এমন প্রশ্ন গা সওয়াও। তবে এবার বাড়ির শাশুড়ি বা প্রতিবেশী কাকিমা নয়, বাচ্চা কবে হবে জানতে চেয়ে নব দম্পতির কাছে ফোন খোদ সরকারের। এমন অভিনব ঘটনাই ঘটছে বিশ্বের বিপুল জনবহুল দেশ চিনে।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুসারে, সোশ্যাল মিডিয়ার এক পোস্ট থেকে জনসাধারণের সামনে এসেছে এমন অভিনব ঘটনা। সেখানে লেখা হয় নানজিং শহরের নব বধূকে শহরের মহিলা স্বাস্থ্য সুরক্ষা দফতর থেকে ফোন করা হয়। জিজ্ঞেস করা হয় তাঁরা কবে সন্তান ধারণ করবেন। শুধু তাইই নয়। ওই মহিলাকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা দফতরের তরফে পরামর্শ দেওয়া হয় বেশি দেরি না করে বিয়ের এক বছরের মাথায় যেন তাঁরা সন্তানের জন্ম দিয়ে দেয়। এমনকি জানানো হয় সন্তান না জন্মানো পর্যন্ত প্রতি তিন মাস অন্তর নব দম্পতিকে তাড়া দিতে সরকারি তরফে আসবে একটা ফোন।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী চিনের নতুন প্রজন্মের মধ্যে সন্তান প্রজননের হার হ্রাস পেয়েছে। এদিকে চিনে তৃতীয় বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে ফিরেছে শি জিনপিং। তিনি কম্যুনিস্ট পার্টির বৈঠকে দেশের জন্মহার ও জনসংখ্যা বিকাশের রণনীতিতে পরিবর্তন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। মনে করা হচ্ছে দেশের জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যেই চিনের নবদম্পতিকে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

গত বছর চিনে নতুন শিশুর জন্মহার ১০ মিলিয়ন থেকে কমে ১০.৬ মিলিয়নে এসে দাঁড়িয়েছে। এর পিছনে চিনের জিরো কোভিড নীতিও দায়ী বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এভাবে চললে আগামী ২০ বছরে চিনের জনসংখ্যা ৩.৫ কোটি কমে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যা দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যতেও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই স্বামী-স্ত্রীর কাছে সরকারি তাগাদা আরও বেড়ে গেছে।

You may also like