মহানগর ডেস্ক: ২০১১ সালে ক্ষমতায় এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমশ কলকাতার আদি পাতাল রেলকে মেট্রোর রূপ দিয়ে কলকাতা জুড়ে ছেয়ে ফেলতে চেয়েছেন মেট্রো রুটে। তার নবতম সংযোজনের একটি জোকা-তারাতলা মেট্রো। আসন্ন নতুন বছরেই যে রুটে যাত্রী পরিষেবা চালু করতে চলেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। সেই তালিকায় রয়েছে রুবি রুটের মেট্রো। তাই জোর কদমে চলছে রুট মার্চ। কখনোও লাইন পরিদর্শন তো কখন আবার মেট্রো রেক নিয়ে নানাবিধ পরীক্ষা নিরীক্ষা। আর এই আবহে চিনা মেট্রো রেক ব্যবহার নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেলের রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন।
প্রসঙ্গত, দেশীয় সংস্থা চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি এখন কেন্দ্রের বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে ব্যস্ত। এই আবহে অগত্যা কলকাতা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ রেকের বরাত দেয় চিনের ‘ডালিয়ান’ সংস্থাকে। ২০১৯ সালে সেই সংস্থার প্রথম রেক এসে পৌঁছেছিল কলাকাতয়। বিগত বছরের মার্চে ডালিয়ানের প্রথম রেক কলকাতায় এসে পৌঁছনোর পরে প্রায় সাড়ে তিন বছর ধরে চলে তার পরীক্ষা। প্রায় ৩২ ধরনের পরীক্ষা করা হয় রেক গুলির উপর। চলতি সপ্তাহে সোমবার সেই পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এবার শুধু রেলের রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন পরীক্ষার ফলাফল খতিয়ে দেখে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়ার অপেক্ষায় কর্তৃপক্ষ।
যদিও এই পরীক্ষায় দেখা হয়েছে রেকের গতি, ভার বহন ক্ষমতা, রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি ইন্টারফেয়ারেন্স, আপৎকালীন ব্রেক, দুলনির মতো পরীক্ষা।সোমবার পরীক্ষার শেষ দিনে খতিয়ে দেখা হয় আপৎকালীন ব্রেক কষলে ঠিক কত সময় নেবে রেক থামতে। ট্রেনের বিভিন্ন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতির ফ্রিকোয়েন্সির জের সিগন্যালিংয়ের ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তাও খতিয়ে দেখা হয়েছে। তবে ফলাফল এখনও হাতে আসেনি। সব কিছু ঠিক থাকলেই চিন থেকে রেক আনার ছাড়পত্র দেবে রিসার্চ ডিজাইন অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ডস অর্গানাইজেশন। সেই ছাড়পত্র পেলেই চিনা সংস্থা ডালিয়ান তাদের কারখানায় তৈরি হয়ে থাকা বরাতের ১৩ টি রেকের মধ্যে ৮ টি রেক সমুদ্রপথে কলকাতায় পাঠিয়ে দেবে।