মহানগর ডেস্ক: ‘মেধাকে কীভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে?’ একটি সংবাদ মাধ্যমের সামিট থেকে নিজেই প্রশ্ন তুলে নিজেই ব্যাখ্যা দিলেন শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। তিনি বলেন, ‘কেন মহিলা বিচারপতি প্রয়োজন আমাদের?’ এমনকি বিচার ব্যবস্থায় মহিলা বিচারপতিদের অন্তর্ভূক্ত করন নিয়েও তিনি মন্তব্য করেন।
আলোচনা প্রসঙ্গে উঠে আসে মেধার জন্ম প্রসঙ্গ, লিঙ্গ বৈচিত্রতা নিয়ে সকলের ধারণার প্রসঙ্গ। বলতে গিয়ে তিনি জানান, ‘এই দেশে থাকা বহু কোর্ট এ এখনও মহিলাদের আলাদা শৌচালয় পর্যন্ত নেই। সেই কঠিন বাস্তবের মধ্য দিয়েই আমাদের মহিলা বিচারপতিরা কাজ করে চলেছেন।’ তিনি এদিন দেশের বিচারব্যবস্থার পরিকাঠামো নিয়েও প্রশ্ন তুলে মহিলা আইনজীবীদের নিয়ে মন্তব্য করেন, লাইভ স্ট্রিমিংয়ের মাধ্যমে এখন মহিলা আইনজীবীরা বেশি করে কাজ করতে সক্ষম হচ্ছেন। প্রধান বিচারপতি বলছেন, ‘অতিমারীর সময় ভিডিয়ো কন্ফারেন্সিং শুরু হওয়ায় বহু মহিলা আইনজীবী কাজে অংশ নিয়েছেন।’ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ভারত জুড়ে, আইনগত পেশার কাঠামো মূলত সামন্ততান্ত্রিক। পাশাপাশি আইন ক্ষেত্রে মহিলাদের প্রবেশ নিয়ে গণতান্ত্রিক ও যোগ্যতাভিত্তিক প্রয়োজন রয়েছে।’
এদিনের বক্তব্যে ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, এই মুহূর্তে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা যে সব বিষয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন, তার মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হল সোশ্যাল মিডিয়া। তিনি বলেন, ‘তাদের চ্যালেঞ্জ এর মুখে পড়ার একটির নাম আশা’। বিচারব্যবস্থা থেকে মানুষের আশানুরুপ মামলার রায়ের ক্ষেত্রে বিচারপতিদের চ্যালেঞ্জ নিয়েও একটা ব্যখ্যা দেন প্রধান বিচারপতি।