মহানগর ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ড থেকে গরু পাচার কাণ্ড, অন্যদিকে ডেঙ্গু ইত্যাদি একাধিক বিষয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের শাসক দল একদম কোণঠাসা। বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণে রাজ্যের শাসকদলের অবস্থা এই মুহূর্তে কিছুটা হলেও লেজে-গোবরে। দলের বিধায়কদের সতর্ক করে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, এমনও কোনও কাজও করা চলবে না, যাতে সরকার ও দল বিব্রত হয়। তবে এবার সেই সতর্কবাণী উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলেন দলের প্রবীণ নেতা তথা বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরি।
সাম্প্রতিক সময়ে নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতির পাশাপাশি অন্যান্য একাধিক বিষয় নিয়ে চাপে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুরমুকে উদ্দেশ্য করে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে নেমেছে বিজেপি। পাশাপাশি অধিবেশন চলাকালে বিধানসভায় একের পর এক প্রশ্ন তুলে তৃণমূল সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধী বিধায়কেরা। আর তার মাঝেই দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তুললেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরি।
আচমকাই অধিবেশনে আব্দুল করিম বলেন, মুখ্যমন্ত্রী কেন বিধানসভায় আসেন না? পাশাপাশি তিনি জানান, তিন চারদিন এক ঘন্টা করেও মুখ্যমন্ত্রী অধবেশন চলাকালে আসলে ভাল হত। তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গেছে।
দলের পরিষদীয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী সহ অন্যান্য বিধায়কেরা। কীভাবে তাঁরা এই বিতর্ক এড়িয়ে যাবেন সেই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যেই আচমকা দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে তিনি বলে ওঠেন, তিনি এগারো বারের বিধায়ক। জ্যোতি বসু থেকে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সকলকেই মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেছেন তিনি। তাঁরা সকলেই বিধানসভায় আসতেন বলে দাবি করেন আব্দুল করিম। তবে সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে একপ্রকার ধমক দিয়ে বসিয়ে দেন সুব্রত বক্সী। তবে পরবর্তীতে আব্দুল করিমের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি অধিবেশনে থাকেন তাহলে গ্ল্যামার বেড়ে যায়। সেই কারণেই তিনি এমন কথা বলেছেন।