মহানগর ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এবার শতাব্দী প্রাচীন ঝাড়গ্রামের কনক দুর্গা মন্দির পুনরুদ্ধারের কাজও শুরু ক্রতে চলেছে রাজ্যের প্রশাসন। অক্ষত রাখা হবে মন্দিরের প্রাচীন কারুকলা, ঐতিহ্য। রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের তত্ত্বাবধানে মন্দিরের শিল্পকলা বাঁচিয়ে রেখেই চলবে মন্দির পুনরুদ্ধারের কাজ। খুব শীঘ্রই মন্দির নির্মাণের কাজও শুরু হবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।
বেশ কয়েক বছর আগেই পুরুলিয়ার ঝাড়গ্রামের গুপ্তমণি, চিল্কিগড়ের কনক দুর্গা, নয়াগ্রামের রামেশ্বর মন্দির সংস্কারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্দির চত্বর সংস্কারের জন্য দু’ কোটি টাকা বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ীই চলছে কাজ। ইতিমধ্যেই মন্দির সংলগ্ন জঙ্গলে ঢোকার মুখে তৈরি হয়েছে বিশাল আকৃতির গেট। পাশাপাশি মন্দির প্রাঙ্গণেই দর্শনার্থীদের বসার জন্য আলাদা আলাদা জায়গার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। মন্দির চত্বর জুড়ে তৈরি হয়েছে শিশুদের খেলার পার্কও। সঙ্গে মন্দিরের পাশে বিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে, গাড়ি পারকিং, টয়লেট ইত্যাদির ব্যবস্থাও।
মন্দির চত্বর পুনর্নির্মাণের পরে এবার পুরনো মন্দির সংস্কারের উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, মন্দির সংস্করণ করতে খরচ হবে প্রায় ৮০ লাখ টাকা। বিশেষজ্ঞদের দেখিয়ে উন্নত মানের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সংস্কার করা হবে এই মন্দির। খুব শীঘ্রই সেই কাজ শুরু করার সম্ভাবনাও প্রবল।
ঝাড়গ্রাম থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে ডুলুং নদীর তীরেই গভীর জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে এই কনক দুর্গা মন্দির। চতুর্ভুজা দেবী এখানে অশ্বারোহিনী। অষ্টধাতুর এই মূর্তিকে ঘিরেই হয় দুর্গা পুজো। মন্দির সংলগ্ন ৬১ একর এলাকা জুড়ে রয়েছে ভেষজ গাছের সম্ভার। এই কনক অরণ্যে তিনশোর বেশি প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যা ইতিমধ্যেই বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার অধ্যাপক-গবেষকেরা চিহ্নিত করেছেন।