মহানগর ডেস্ক: কলেজে পড়ার সময়ই দুজন দুজনের প্রেমে পড়েছিল। চুটি চলছিল প্রেম। ঘোরাফেরা, ঘনিষ্ঠতা। কিন্তু একসময় প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন ধরে। তবে কলেজছাত্রীই আর প্রেমের সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখতে চায়নি। কিন্তু তার প্রেমে বুঁদ প্রেমিক কোনওভাবেই তাদের সম্পর্ক শেষ করে দিতে চায়নি। তারপরই বিষ খাইয়ে প্রেমিকের জীবন শেষ করে দেয় ওই কলেজছাত্রী (College Student Killed) । ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণের কেরলের তিরুঅনন্তপুরমে (Kerala)। প্রেমিককে খুনের দায় গ্রেফতার করে হয়েছে তেইশ বছরের ওই কলেজছাত্রীকে (Admitted By Lover)। প্রথম সে কিছুতেই প্রেমিককে খুনের কথা স্বীকার করতে চায়নি। তাকে টানা আট ঘণ্টা জেরা করার পর সে ভেঙে পড়ে। কবুল করে সে বিষ খাইয়ে নাছোড় প্রেমিককে খুন করার কথা।
তেইশ বছরের রেডিওলজির ছাত্র শারন রাজের মৃত্যু হয় অক্টোবরের পঁচিশ তারিখে। তদন্ত করার পর এদিন পুলিশ নিশ্চিত হয় তার প্রেমিকা গ্রিসমাই তাকে খুন করেছে। পুলিশের জেরার মুখে গ্রিসমা স্বীকার করে সে চাইলেও তার প্রেমিক শারণ কিছুতেই সম্পর্ক শেষ করতে চাইছিল না। এভাবে চলতে চলতে একদিন তার বাড়িতে প্রেমিককে ডেকে পাঠায় গ্রিসমা। বাড়িতে আসার পর একটি আয়ুর্বেদিক সরবতে কাপিক নামে কীটনাশক মেশায়। খাওয়ার পরই শারণ বমি করতে থাকে। তারপর তার প্রেমিকার বাড়ি থেকে চলে যায়। প্রেমিককে খুনের ছক গ্রিসমা অনেক আগে থেকেই করে রেখেছিল। সেই ছক সফল করতে সে শারণকে ডেকে পাঠায় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তে জানা গিয়েছে একবছর ধরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ২০২২ সালে তাদের মধ্যে সমস্যা দেখা দেয়। গ্রিসমার বিয়ে অন্যত্র ঠিক হয়ে গিয়েছিল।
তবু তারা সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু কিছুদিন আগে দুজনের মধ্যে ফের সমস্যা দেখা দেয়। সেসময়ই গ্রিসমা ঠিক করে পথের কাঁটা সরাতে সে শারণকে পৃথিবী থেকে চিরকালের জন্য সরিয়ে দেবে। তারপরই খুনের ছক কষে। যজিও শারণকে ভয় পাইয়ে দিতে গ্রিসমা তাকে জানায় সে যেন এই সম্পর্ক ভেঙে ফেলে। কুষ্ঠিতে রয়েছে তার প্রথম স্বামীর মৃত্যু হবে। দাদার এমন অবস্থা দেখে শারণের ভাই তার কাছে বারবার জানতে চায় সে তার দাদাকে কী খাইয়েছে। কিন্তু ভয়ে কোনও কথা জানায়নি গ্রিসমা। যদি সে জানাতো, তাহলে শারণ বেঁচে যেতো বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে হাসপাতালে ভর্তি থাকা শারণ মৃত্যুর আগে পর্যন্ত জানিয়েছিল সে কারোকে তার মৃত্যুর ব্যাপারে সন্দেহ করে না। খুনের অভিযোগে জেলে পোরা হয়েছে গ্রিসমাকে।