মহানগর ডেস্ক : গোটা অক্টোবর মাসটা জুড়ে পুজো পার্বণ যেমন চলেছে ঠিক তেমনই চলেছে পেট পুজো। আড্ডা ,গল্প ,রিউনিয়ন সেই সব কিছুর সঙ্গে জুড়ে রয়েছে পেট পুজো। এই কদিন ‘নিয়ম কি জিনিস’ সেটাকে জাস্ট পকেটে পুরে কব্জি ডুবিয়ে খেয়ে গিয়েছেন ইলিশ, চিংড়ি, মাটন , চিকেন। তবে শেষে মনে পড়ে শরীরের কথা। এক বুক অম্বল নিয়ে যখন যন্ত্রণায় জেরবার তখন মনে হয় খাওয়াটা একটু কম হলেই ভালো হত। সে হয়তো ওষুধ খেয়ে অম্বল কমে যেতে পারে। কিন্তু আপনার অন্ত্রের উপর যে চাপটা পড়ছে তা কিন্তু মারাত্মক।
এ কদিন বাইরের খাবারকে একেবারে বলুন টাটা। কারণ সামনে কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তন চলছে। এই সময় যদি একটু নিজের শরীরের দিকে না দেখেন তাহলে কিন্তু বেশ মুশকিল। এই কয়েকদিন পেটের উপর যা অত্যাচার করেছেন তাই বিশ্রাম নিতে আপাতত বাড়ির খাবারের ওপরেই ভরসা রাখুন। সেই সঙ্গে নিয়ম মেনে খাবার দাবার কঠিন।
চিকিৎসকদের মতে এই কয়েকদিন একটু বেশি করে জল খান। কারণ যত বেশি জল খাবেন তত শরীর হাইড্রেট থাকবে। অতিরিক্ত খাই খাই ভাব কমবে। আর খাবার হজম হবে খুব দ্রুত। প্রয়োজন মনে হলে রাতে শোয়ার আগে ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে শুতে পারেন। তাতে শরীর সারারাত হাইড্রেট থাকবে।
নুন জল খাওয়াও বেশ স্বাস্থ্যকর। বর্তমানে খুব সহজেই আপনি পেয়ে যাবেন হিমালয়ান পিঙ্ক সল্ট। প্রত্যেকদিন সকালে একলা একটি জল খেলে উপকার পাবেন প্রচুর। এটি আপনার অন্ত্র ও কোলন ভেতর থেকে পরিষ্কার করে।
পাকস্থলীকে পরিষ্কার রাখতে চাইলে ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। বেশি করে ফল, শাক-সবজি, নানা ধরনের বীজ খান এই সময়ে।
সকালে ব্রেকফাস্টে বানাতে পারেন হালকা যেকোনো ফল দিয়ে স্মুদি। একটু পেট যেমন অনেকক্ষণ ভরা থাকবে তেমন শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ভালো। যে কোন ফল দিয়েস স্মুদি বানাতে পারেন আপনি। যেমন কলা, বাদাম, দুধ পিনাট বাটার, ওটস আপেল ,খেজুর সবেদা, মুসাম্বি যা কিছু।
পেটের গোলমালের জন্য প্রোবায়োটিক খাবার কিন্তু বেশ ভালো। সবথেকে সহজলভ্য প্রোবায়োটিক খাবার হল টকদই। খাবার পর রোজ এক বাটি টকদই খান। অথবা রাতে ডিনারের পর টক দই দিয়ে বানিয়ে নিন রায়তা। প্রয়োজনে শসা পেঁয়াজ কুঁচি দিতে পারেন।