মহানগর ডেস্ক: ফের ত্রিপুরা (Tripura) বিজেপির (BJP) অন্দরে ফাটল দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। যেখানে বিজেপি বিধায়ক অরুণ চন্দ্র ভৌমিককে বলতে শোনা গিয়েছে, শিক্ষামন্ত্রী নাথকে পদ থেকে সরানো উচিত। তিনি আমাকে অপমান করেছেন যখন আমি তাঁর কাছে একটি কলেজের দু’জন ফ্যাকালটি মেম্বারের বদলির বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম।
ভিডিওতে বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, “শিক্ষামন্ত্রী আমার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেছেন। তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কেড়ে নিতে হবে। সুশান্ত চৌধুরী বা আমাদের বিধানসভার স্পিকার রতন চক্রবর্তীর মতো উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি আমাদের আছে। তাঁদের মতো কাউকে তাঁর জায়গা দেওয়া উচিত”। যদিওবা শনিবার সন্ধ্যায় নিজের বলা কথার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিধায়ক ভৌমিক।
তাঁর বক্তব্য, শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতির জন্য এই ধরণের কথা বলেছেন। প্রসঙ্গে ভৌমিক বলেছেন, “আমার কথায় কেউ আঘাত পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। কিন্তু রাজ্যে উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য আমি আমার মন্তব্যে অটল। যে ব্যক্তি একটি উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে তাঁর পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারে, তাঁকে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া উচিত”। সম্প্রতি সেখানে বদল ঘটেছে মুখ্যমন্ত্রীর। দু’মাস হয়নি বিপ্লব কুমার দেবের জায়গায় বসেছেন মানিক সাহা। দলে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্যই বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বদলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু তাতেও দলের মধ্যেকার ফাটল বজায় রয়েছে।
২ দশক ধরে শাসন করা মার্কসবাদী সরকারকে সরিয়ে ত্রিপুরেশ্বরী রাজ্যের আদিবাসী ফ্রন্টের সঙ্গে জোট করে ২০১৮-তে সরকার গঠন করে বিজেপি। বর্তমানে বিধানসভায় বিজেপির ৩৬ জন বিধায়ক রয়েছে এবং আইপিএফটির ৮ জন বিধায়ক। ক্ষমতায় থাকার এক বছরের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের সঙ্গে মতপার্থক্যের জেরে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল সুদীপ রায় বর্মণকে। আবার গেল ফেব্রুয়ারিতেই কিছু জন পার্টি ছেড়েছেন।
মূলত সুদীপ রায় বর্মণের নেতৃত্বে বিজেপি বিধায়কদের একটি প্রতিনিধি দল বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছিলেন। আবার সম্প্রতি অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ক্রস ভোটিংয়ের প্রতিক্রিয়ায় বিজেপির নবেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে আমাদের কোনও বিধায়ক ক্রস ভোট দিয়েছেন। অতিরিক্ত দু’টি ভোট বিরোধী দলের পক্ষে যাওয়ায় আমাদের সিনিয়র নেতারা বিষয়টি দেখবেন। এমনকি জোটের শরিকদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই আবহে ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।