মহানগর ডেস্ক: বিধানসভা ভোট যখন যতই এগিয়ে আসছে,ততই সরগরম হয়ে উঠছে গুজরাতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি। এবার সেই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেস প্রার্থীর (Congress Candidate) মন্তব্য। সিদ্ধাপুরের কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনী সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে মন্তব্য করেন একমাত্র মুসলিমরাই (Muslims Can Save Congress) কংগ্রেসকে বাঁচাতে পারে। তাঁর মন্তব্য ভোটের বাজারে লুফে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস প্রার্থীর মন্তব্যকে অস্ত্র করে সংখ্যালঘু তোষণের তাস খেলা নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণ চালিয়েছে তারা। কংগ্রেসকে মুসলিম তোষণকারীর দল বলে দাগিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে পদ্মশিবিরের মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বেছে নিয়েছেন টুইটারকে।
টুইটারে তিনি লিখেছেন এটা একেবারে খোলাখুলি,প্রকাশ্য মুসলিম তোষণ। এটা সংযোগ নয়। হিন্দুদের আস্থা একাধিক কংগ্রেস নেতা ধ্বংস করেছেন। আর এখন প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে তুষ্টিকরণের ভজনা কারণ তাদের গোপাল ইটালিয়া ও রাজেন্দ্র পালের সঙ্গে পাঞ্জা কষতে ভয় হচ্ছে। কংগ্রেসের দরকার সাম্প্রদায়িকতা। তিনি জানান প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেছিলেন মুসলমানদের সম্পত্তি যেসব রয়েছে,তার ওপর প্রথম অধিকার। আরেকটি টুইটে শেহজাদ লেখেন, সিধপুরের কংগ্রেস প্রার্থী চন্দনজী ঠাকুর বলেছেন মুসলিমরাই কংগ্রেসকে বাঁচাতে পারে। বিজেপি সরকার তিন তালাক ও হজ ভর্তুকি বন্ধ করে দিয়েছে। মনমোহন সিং এবং কংগ্রেস নেতা জারকিহোলি ও অন্যান্য কংগ্রেস নেতারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করে হিন্দুদের আস্থা টলিয়ে দিয়েছেন।
আগামী পয়লা ডিসেম্বরে প্রথম দফা ভোট হচ্ছে গুজরাতে। সব দলই সর্বশক্তি দিয়ে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পাশাপাশি প্রচারও চলছে সমানতালে। প্রচারে সিধপুরের কংগ্রেস প্রার্থী নির্বাচনী সভায় বলেন, ওরা গোটা দেশকে গহ্বরের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। দেশকে বাঁচাতে পারে একমাত্র মুসলিমরাই। এবং কংগ্রেসকেও বাঁচাতে পারে মুসলিমরা। কংগ্রেস প্রার্থী এও বলেন এনআরসি ইস্যুতে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীই পথে নেমেছিলেন। কেউই মুসলিমদের পাশে দাঁড়ায়নি। কংগ্রেসই গোটা দেশে মুসলিমদের রক্ষা করে চলেছে।