নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন কানহাইয়া কুমার। যোগ দিয়েছেন জিগনেশ মেবানিও। এই দুই তরুণ তুর্কি নেতাকে দলে পেয়ে নতুন করে অক্সিজেন পেয়েছেন সোনিয়া গান্ধির দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ধরাশায়ী করা যাবে বলেও এখন থেকে ভাবতে শুরু করেছেন তাঁরা।
২০১১ সালে জেএনইউয়ে পিএইচডি করার সুযোগ পান কানহাইয়া। এআইএসএফের প্রতিনিধিত্ব করে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে সংসদের জঙ্গি হামলার মূল চক্রী আফজল গুরুকে সমর্থন জানিয়ে বক্তৃতা করায় দেশ-বিরোধী তকমা জোটে। তার পরেই তামাম ভারতে অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে ওঠেন বিহারের বেগুসরাইয়ের এই তরুণ। এহেন কানহাইয়াই মঙ্গলবার দুপুরে যোগ দেন কংগ্রেসে।
কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কানহাইয়া বলেন, আমি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি, কারণ এটি একটি দল নয়, এটি চিন্তাধারাও। দেশের সব থেকে পুরানো ও সব চেয়ে গণতান্ত্রিক দল হল কংগ্রেস। আমি গণতান্ত্রিক কথাটির ওপর আরও বেশি জোর দিতে চাই। কেবল আমি নই, অনেকেই মনে করেন কংগ্রেস ছাড়া আমাদের দেশের টিকে থাকা কঠিন। তিনি বলেন, কংগ্রেস দলটি হল একটি বড় জাহাজের মতো। যদি এটি সুরক্ষিত থাকে, তবে আমি মনে করি বহু মানুষের আশা-আকাঙ্খা, মহাত্মা গান্ধির চিন্তাধারা, ভগৎ সিংয়ের সাহসিকতা ও বিআর আম্বেদকরের সকলকে সমান অধিকারের ভাবনাও সুরক্ষিত থাকবে।
কানহাইয়ার এহেন যুক্তিতে মুগ্ধ কংগ্রেসের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা। এই ‘বিহারিবাবু’কে দলে পেয়ে যারপরনাই খুশি তাঁরা। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কানহাইয়ার মতো এক নেতাকে দলে টেনে বিজেপিকে রামধাক্কা দেওয়া গেল বলেও আত্মতৃপ্তির ঢেঁকুর তুলছেন তাঁরা।