মহানগর ডেস্কঃ কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই অপক্ষা করছিলেন। কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিন এমনই তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করলেন দলের কার্যনির্বাহী সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। দীর্ঘ ২২ বছর পড়ে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল কংগ্রেসের সভাপতি পদের নির্বাচন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাংসদ শশী থারুরের সঙ্গে প্রবীণ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের। গান্ধী পরিবারের মতাদর্শ মেনে চলতে আপত্তি নেই বলে নির্বাচনী প্রচারে জানিয়েছিলেন খাড়গে। অন্যদিকে সভাপতি নির্বাচিত হলে দলকে নতুন দিশা দেখানোর আশ্বাস দিয়েছেন শশী থারুর। সোমবার এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর এই মন্তব্য বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
স্বাধীনতার পরে কংগ্রেস সভাপতি পদে শেষবারের জন্য নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। দীর্ঘ ২২ বছর পরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা প্রবল। এই নির্বাচনে প্রদেশ কমিটির প্রায় ৯ হাজার নেতা কর্মী ভোট দেবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
এদিন ভোট শুরু হওয়ার পরে দিল্লির পার্টি অফিসে ভোট দেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে এই প্রথম তাঁর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিলেন তিনি। অন্যদিকে কর্ণাটকের বেঙ্গালুরুতে পার্টির সদর দফতরেই ভোট দেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। ভারত জোড়ো যাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ায় রাহুল গান্ধীও এদিন ভোট দেন কর্ণাটকে। নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী শশী থারুর ভোট দেন কেরালার তিরুঅনন্তপুরমেই।
এর আগে ২০১৭ তে বিনা ভোটেই কংগ্রেস সভাপতি পদে বসেন রাহুল গান্ধী। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে বিপুল পরাজয়ের পরে সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। এরপর কার্যনির্বাহী সভাপতি হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় সোনিয়া গান্ধীকে।