মহানগর ডেস্কঃ অপেক্ষার অবসান। অবশেষে প্রকাশিত হল কংগ্রেস সভাপতি পদের নির্বাচনের ফলাফল। কংগ্রেসের সভাপতি পদে ৮০ বছরের বরিষ্ঠ নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। গত ২৪ বছরে এই প্রথম অ গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট পদে।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মল্লিকার্জুন খাড়গে পেয়েছেন ৮৭৯৭ টি ভোট। অন্যদিকে শশী থারুর পেয়েছেন মাত্র ১০৭২ টি ভোট। কাজেই ভোটের ফারাক বিস্তর। মল্লিকার্জুন খাড়গে কংগ্রেসের অন্যতম বরিষ্ঠ নেতা। বহু বছর ধরেই সক্তিয় রাজনীতিতে অবস্থান তাঁর। একজন সফল রাজনীতিবিদের পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ আইনজীবীও। ১৯৬৯ সালে কর্ণাটকের গুলবর্গা সিটি কংগ্রেসের প্রথম সভাপতি হন তিনি। ১৯৭২ সাল থেকে ২০০৯ পর্যন্ত মোট ৯ বার তিনি বিধায়ক ছিলেন। ২০০৫ সালে কর্ণাটক প্রদেশ কমিটির সভাপতি হন তিনি। এরপর অনেক বড় পদেই অধিষ্ঠিত হন তিনি।
কংগ্রেস সভাপতি পদের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরাজিত হয়েও খাড়গেকে অভিনন্দন জানান শশী থারুর। অভিনন্দন জানাতে এদিন খাড়গের বাড়িতে যান থারুর। যদিও থারুর শিবির ভোট গণনার সময় কারচুপির অভিযোগ এনেছিল খাড়গে বাহিনির বিরুদ্ধে।
খাড়গের জয়ের উদযাপন শুরু হয়েছে কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে। সমর্থকরা রীতিমত ঢাক ঢোল বাজিয়ে তাঁদের পছন্দের প্রার্থীর জয়লাভ উপভোগ করতে ব্যস্ত। তাঁর এই জয়ের পরে বরিষ্ঠ নেতার সঙ্গে দেখা করতে আসেন সচিন পাইলট, গৌরব গগৈ, তারিক আনোয়ারের মত কংগ্রেস নেতৃত্বরা।
কংগ্রেস সভাপতি পদে গান্ধী পরিবারের প্রথম পছন্দ ছিল রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। এদিকে রাজস্থান ইস্যুতে অশোক গেহলট দলের হাই কমান্ডের বিরাগভাজন হন। ফলত পরবর্তীতে ক্ষমা চাইলেও চিঁড়ে ভেজেনি। দল আস্থা অশোক গেহলট থেকে সরিয়ে পোষণ করে অপর বরিষ্ঠ নেতা মল্লিকার্জুনের উপর। এবার সেই আস্থার কার্যত অনুমোদন। নতুন সভাপতি পেয়ে আগামী দিনে কংগ্রেসের প্রতি মানুষের আস্থা ফিরে আসে কিনা তারই অপেক্ষা।