মহানগর ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে অপমান করার জন্য কংগ্রেসের (Congress) দিকে তোপ দেগেছেন। বলেছেন, দলটি সাংবিধানিক পদে মহিলাদের অপমান করে চলেছে। তাঁর বক্তব্য, ক্ষমা চাওয়া উচিত হাত শিবিরের।
মূলত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পরে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ভিডিওতে দ্রৌপদী মুর্মুকে “রাষ্ট্রপত্নী” বলে সম্মোধন করেছেন তিনি। যদিও পরে এটাকে ‘ভুল’ বলে নিজেই আবার শুধরেছেন। কিন্তু ইতিমধ্যে তাঁর সেই মন্তব্যকে ঘিরে শোরগোল পরে গিয়েছে চারিদিকে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, “দ্রৌপদী মুর্মুর নাম রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই তাঁকে নিশানা বানিয়েছে কংগ্রেস পার্টি। কখনও তাঁকে বিজেপি সরকারের হাতের পুতুল আবার কখনও অশুভ প্রতীক বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এখন তিনি দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদে নির্বাচিত হয়েছেন। তাও তাঁকে নিশানা করতে পিছপা হচ্ছে না গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি”।
প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মন্ত্রিসভার অন্যতম সদস্য বিরোধী নেতার দিকে আঙুল তুলে বলেছেন যে, তিনি জানতেন ভারতের রাষ্ট্রপতিকে এইভাবে সম্বোধন করলে তাঁর সাংবিধানিক পদের অপমান করা হয়। একইসঙ্গে তিনি যে আদিবাসী সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব করছেন, তার অসম্মান করা হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘সনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে দলের সাংসদরা সাংবিধানিক পদে নারীদের অবজ্ঞা করে চলেছেন। আমাদের দেশের প্রথম আদিবাসী রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করার জন্য কংগ্রেস পার্টির রাজপথে দাঁড়িয়ে ক্ষমা চাওয়া উচিত। সেটা শুধু ভারতের রাষ্ট্রপতির জন্য নয়, ভারতীয় প্রতিটি নাগরিকের জন্য যারা মুর্মুকে প্রতিনিধিত্ব করছেন’। এদিকে মিস্টার চৌধুরী ক্ষমা চাওয়ার বদলে সেটিকে একটি “ভুল” বলে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর বক্তব্য, “ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ভুল করে “রাষ্ট্রপত্নী” বলেছিলাম। ইচ্ছাকৃতভাবে একটা ছোটো বিষয়কে বড় করে দেখা হচ্ছে”।