মহানগর ডেস্ক: তাদের সবারই মিলেছে হঠাৎ ছুটি। তাই তারা ফিরে এসেছে নিজেদের গ্রাম দাহোদের রানধিকপুর গ্রামে (Gujarat Riot Convicts)। কিন্তু তারা ফিরে আসার পর একজনের দিন কাটছে ভয়ঙ্কর আতঙ্কে, ফের যদি…। কিন্তু ওরা কারা, কাদেরই বা গ্রামে ফিরে আসায় সে এত আতঙ্কে ভুগছে? তাই গ্রামের মায়া কাটিয়ে চলে গিয়েছে অন্য জায়গায়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে ফিরে আসা এগারোজনকে মুক্তি দিয়েছে গুজরাত সরকার (Gujarat Government)। যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ কমিয়ে দিয়ে স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। আর যে তাদের ধর্ষণের শিকার হয়েছিল, পরিবারের সাতজনকে চোখের সামনে খুন হতে দেখেছিল,সেই বিলকিস বানো এখন আর গ্রামে থাকে না।
গ্রামে ফিরে জাঁকিয়ে বসেছে এগারোজন ধর্ষণকারী। এই গ্রাম এবং গ্রামের আশপাশেই তাদের বাড়ি। এই গ্রামে মেরেকেটে থাকেন হাজার চারেক মানুষ। ২০০২ সালে গুজরাত দাঙ্গা মামলায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত যে এগারোজনকে মেয়াদ শেষের অনেক আগেই মুক্তি দিয়েছে, সেই গোবিন্দ নাই জানিয়েছে, তারা নির্দোষ। কেউ কী কখনও দেখেছেন কাকা আর ভাইপো নিজেদের সামনে কারোকে ধর্ষণ করে। হিন্দুদের মধ্যে এরকম হয় না (Hindus Can not Rape)। হিন্দুরা এরকম কাজ করতে পারে না। যদিও বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই তারা যখন প্যারোলে মুক্তি পেয়ে গ্রামে এসেছিল,তখন ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের হুমকি দিয়েছিল। একসঙ্গে মুক্তি পাওয়ার আগে তিন বছর প্যারোলে জেল থেকে বেরিয়েছিল। তারা সবাই মুক্তি পেয়েছিল এবার স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর পূর্তিতে, যেদিন লাল কেল্লায় ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, মহিলাদের সম্মান দিন।
বাস্তব বলছে বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত গোবিন্দ রাইয়ের বিরুদ্ধে যে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছিল, তাদের সে শাসিয়েছিল। আরেক সাজাপ্রাপ্ত রাধেশ্যাম শাহ থাকেন বিলকিস বানোর ছেড়ে যাওয়া বাড়ির উল্টোদিকে একটি বহুতলবাড়িতে। তার ভাই বাজি বিক্রি করেন। জানিয়েছেন, তার দাদা আর এখানে থাকে না। অভিযোগ, প্যারোলে ছাড়া পাওয়ার পর এক মহিলাকে হেনস্থা করায় রাধেশ্যামের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। যদিও তার ভাই ঘটনাটিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। যদিও যারা তার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিল,তারা তাদের অভিযোগ থেকে সরছে না। তবে ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছে তারা। সব মিলিয়ে বিলকিস বানো গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় সাজাপ্রাপ্তরা জেল থেকে মুক্তি পাওয়ায় আবার বহাল তবিয়তেই রয়েছে। শুধু ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গার পরে আতঙ্কে দিন কাটছে গণধর্ষিতা বিলকিস বানোর।