মহানগর ডেস্ক: নাবালিকা গৃহকর্মীকে বেধড়ক মারধর করে দাঁত ভেঙে, শরীরে আগুনের ছ্যাঁকা দেওয়ার অভিযোগে অসমের এক সেনা অফিসার ও স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ (Army Officer And Wife Arrested)। জখম নাবালিকার মেডিকেল রিপোর্টে জানা যায় মারের চোটে তার নাক ভেঙে গিয়েছে। জিভে গভীর গর্তের দাগও পাওয়া গিয়েছে মেডিকেল রিপোর্টে। অধিকাংশ সময় যোল বছরের নাবালিকাকে পোশাকহীন অবস্থায় রাখা হতো। ছ মাস ধরে তার ওপর অত্যাচার চালানো হয় বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।
তাকে খেতেও দেওয়া হতো না। সেনা অফিসার ও তাঁর স্ত্রী ডাস্টবিন থেকে উচ্ছিষ্ট খাবার তাকে খেতে বাধ্য করতো বলে তদন্তে জানা গিয়েছে। নাবালিকার অভিযোগ, যতক্ষণ না তার শরীর থেকে রক্ত বেরোচ্ছে, ততক্ষণ তার ওপর অত্যাচার চালানো হতো। এমনকী নিজের রক্ত চাটতেও বাধ্য করতেন সেনা অফিসারের স্ত্রী। তাকে ঘরে আটকেও রাখা হতো। চুল ধরে টানার পাশাপাশি অত্যাচার চালিয়ে যেতেন তাঁরা। নির্যাতিতা নাবালিকা জানিয়েছে, তার ঘরের কাজে দক্ষতা দেখে সেনা অফিসারের স্ত্রী রেগে গিয়ে ঘরের দরজায় তালা মেরে তাকে আটকে রাখতো। রাগে রুটি বেলার বেলন দিয়েও নির্মমভাবে মারধর করতেন। তাকে মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলতেন। মারের চোটে রক্ত বের হলে তা চাটতে বাধ্য করতেন।
যদিও সেনা অফিসার ও তাঁর স্ত্রী পাল্টা জানান গৃহকর্মী ওপর থেকে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পকসো ও তপশিলি জাতি উপজাতি আইনে মামলা করেছে পুলিশ। তারা জানিয়েছে নাবালিকা তাদের জানিয়েছে গত ছ মাস ধরে সেনা অফিসার ও তাঁর স্ত্রী তার ওপর অত্যাচার করেছিল। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে মেজর হিসেবে কর্মরত অভিযুক্ত ওই নাবালিকাকে বাচ্চা দেখাশোনার জন্য ভাড়া করেছিলেন। তাকে হিমাচল প্রদেশে নিয়ে নিয়ে যান। সেখানে মাসের পর মাস তার ওপর অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ। হিমাচল প্রদেশ থেকে অসমে আসার পর নাবালিকা সব কথা তার পরিবারকে জানায়। তারপরই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ দায়েরের পর সেনা অফিসার ও তাঁর স্ত্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।