মহানগর ডেস্ক: যোগী রাজ্যে রাতের ট্রেনে কমপার্টমেন্টে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন এক মহিলা কনস্টেবল (Attack On Woman Constable)। তাঁর ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটে তিরিশে অক্টোবর। এই ঘটনায় উত্তরপ্রদেশ সরকার ও ভারতীয় রেলকে ভর্ৎসনা করল এলাহাবাদ হাইকোর্ট।
হোয়াটস অ্যাপে পাঠানো মেসেজের ভিত্তিতে রবিবার নিজের বাড়িতে বেশি রাতের দিকে বিচারপতি আশুতোষ শ্রীবাস্তবকে সঙ্গে নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রীতিঙ্কর দিওয়াকের শুনানির ব্যবস্থা করেন। কর্তব্যে ত্রুটির জন্য দুই বিচারপতির বেঞ্চ রেলওয়ে প্রোটেকশন গ্রুপের কড়া সমালোচনা করে।
এ মাসের তেরো তারিখের মধ্যে এই ঘটনার স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেওয়ার জন্য জিআরপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে ওই মহিলা কনস্টেবলকে সরযূ এক্সপ্রেসের কম্পার্টমেন্টে মুখ ও মাথায় আঘাত-সহ কম্পার্টমেন্টে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁকে লখনউয়ে একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। ওইদিনই মহিলা কনস্টেবলের ভাই এফআইআর দায়ের করেন।
পুলিশ ও মহিলার পরিবার অবশ্য পুলিশ কনস্টেবলের ওপর যৌন হেনস্থার বিষয় স্বীকার করেনি। এই ঘটনায় আদালত কেন্দ্রীয় সরকার এবং রেলমন্ত্রক, আরপিএফের ডিরেক্টর,উত্তরপ্রদেশ সরকার ও রাজ্য মহিলা কল্যাণ দফতরকে নোটিস জারি করেছে। পুলিশ জানিয়েছে প্রয়াগরাজ জেলার সাতচল্লিশ বছরের ওই মহিলা কনস্টেবল সুলতানপুর জেলায় কর্মরত ছিলেন।
সুলতানপুর থেকে অযোধ্যায় শ্রাবণ মেলায় ডিউটি করতে তিনি আসছিলেন। অযোধ্যায় তিনি ট্রেন থেকে নেমে যান। তিনি মানকপুর নামে একটি স্টেশনে নেমে যান। অযোধ্যা ও মানকপুরের মধ্যে হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের প্রবীণ পুলিশ আধিকারিকরা লখনউয়ে কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তাঁকে দেখতে যান। তবে কেন তাঁর ওপর হামলা হয়েছিল, সে ব্যাপারে এখনও অন্ধকারে পুলিশ।