মহানগর ডেস্ক: বিজ্ঞান,প্রযুক্তি যখন দুনিয়ার প্রায় কিছুরই সমাধান করে চলেছে, যার ব্যতিক্রম নয় ভারত। নিত্যনতুন আবিষ্কারের পাশাপাশি গবেষণায় উঠে আসছে নানা বিষয়,তখন এই ভারতে কুসংস্কারের ভয়ঙ্কর রূপ দেখা গিয়েছিল কমিউনিস্ট শাসিত কেরলে। মাস কয়েক আগের ঘটনা। আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে থাকা পরিবারের আর্থিক হাল ফেরাতে ও ধনী হওয়ার লোভে দুই মহিলাকে নরবলি ( Horrific Human Sacrifice) দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল বাম শাসিত কেরলে ( Kerala)।
মাস কয়েক আগে নিখোঁজ হয় ওই দুই মহিলা। তাদের খোঁজ করতে গিয়ে নরবলি দেওয়ার ঘটনা পুলিশ জানতে পারে। তদন্তে জানা যায় এক দম্পতি তাদের পারিবারিক আর্থিক অস্বাচ্ছন্দ্য দূর করতে কালো জাদুর ( Black Magic)শরণাপন্ন হয়। তারাই এজেন্ট মারফত রোজলিন ও পদ্মা নামে দুই মহিলাকে জোগাড় করে।
তারপর কালো জাদুর সাহায্যে তাদের নরবলি দেয়। নরবলির ঘটনায় পুলিশ ওই দম্পতি ও তাদের এজেন্টকে গ্রেফতার করে পুলিশ (Police Arrested Couple)। তদন্তে জানা গিয়েছে রোজলিন ও পদ্মা এর্নাকুলামে থাকতো।
গত বছরের জুন মাস থেকে রোজলিনের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। সেপ্টেম্বরে নিখোঁজ হয় পদ্মা। তারপর তাদের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। তারা জানিয়েছে রোজলিন ও পদ্মার গলা কাটা ছিল। তাদের টুকরো টুকরো দেহ পাথাননামথিট্টার তিরুভাল্লার বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে পাওয়া যায়। অভিযুক্ত দম্পতিদের নাম ভগবন্ত সিং ও তার স্ত্রী লায়লা।
ভাগবন্ত পেশায় একজন ম্যাসেজ থেরাপিস্ট। তারা দুজনেই বিশ্বাস করতো নরবলি দিলে তাদের পরিবারে সমৃদ্ধি আসবে। তারা প্রচুর ধনসম্পত্তির মালিক হবে। তারা ছাড়াও রশিদ ওরফে মহম্মদ সফি নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে পুলিশ। সে-ই তাদের নরবলি দিতে সাহায্য করেছিল। ধৃত ওই ব্যক্তি দম্পতিকে এ কাজে প্ররোচিত করে তদন্তে জানা গিয়েছে।
পুলিশের সন্দেহ ওই দুই মহিলাকে এর্নাকুলাম থেকে অপহরণ করে অভিযুক্ত দম্পতির বাড়িতে নিয়ে আসে। পদ্মার খোঁজ করতে গিয়ে অভিযুক্ত সফির কাছে তার ফোনের হদিশ পায় পুলিশ। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে সে। স্বীকার করে ওই মহিলাদের সে-ই অপহরণ করেছিল।
কোচির পুলিশ কমিশনার নাগারাজু চাকিলাম জানিয়েছেন এর্নাকুলামের কাদাভানথারা থেকে নিখোঁজ হওয়া মহিলা পদ্মার খোঁজ করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে তাকে থিরুভাল্লায় একটি দম্পতির বাড়িতে খুন করা হয়েছে। তার দেহ টুকরো টুকরো করা হয়েছে। তার টুকরো টুকরো দেহ মাটিতে পোঁতা হয়েছে।