মহানগর ডেস্ক: যোগীরাজ্যে পুলিশের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হল মহিলা কনস্টেবলের ওপর হামলার ঘটনায় অভিযুক্তের (Accused Killed In Police Encounter)। গত মাসে উত্তরপ্রদেশে অযোধ্যার কাছে ওই মহিলা কনস্টেবলকে সরযূ এক্সপ্রেসে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারপর থেকেই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্ধান পায়। তার খোঁজে হানা দেওয়ার সময় পুলিশের সঙ্গে অভিযুক্ত ও তার সঙ্গীদের মধ্যে গুলির লড়াই শুরু হয়। এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় অভিযুক্তের। তার দুই শাগরেদ পুলিশের গুলিতে জখম হয়। তাদের দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত তিরিশে আগস্ট অযোধ্যার কাছে সরযূ এক্সপ্রেসে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায় এক মহিলা কনস্টেবলকে। দুষ্কৃতীরা তার মাথায় ও মুখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। বর্তমানে লখনউয়ের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মহিলা কনস্টেবল। পুলিশ মূল অভিযুক্ত আনিস খানের খোঁজে গেলে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে সে জখম হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার দুই শাগরেদ আজাদ ও বিশ্বম্ভর দয়াল গুলির লড়াইয়ে জখম হয়। তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অযোধ্যা পুলিশ জানিয়েছে মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে এবং বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে চিহ্নিত করে। তার ছবি দেখে শনাক্ত করে ওই মহিলা কনস্টেবল। এরপর অযোধ্যা পুলিশ ও একটি টাস্ক ফোর্স তাদের খোঁজে তল্লাশি চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে তারা অভিযুক্তের খোঁজে হানা দিলে আনিস ও তার সঙ্গীরা গুলি চালাতে শুরু করে। আনিসের দুই শাগরেদ পুলিশের গুলিতে আহত হয়। পাল্টা পুলিশও গুলি চালায়। জখম অবস্থায় পালাতে গেলে দুই শাগরেদকে গ্রেফতার করে। তিন নম্বর শাগরেদ ফেরার। তার খোঁজে এলাকায় কর্ডন করে তল্লাশি চালায় পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজ পাওয়ার পর তাদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে থাকে। আনিস জখম হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।